স্টাফ রিপোর্টার
লকডাউন ভেঙে রাতের আঁধারে লুকিয়ে সিলেটে যাত্রী ঢুকা কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না। বিভিন্ন কৌশলে অন্যান্য জেলা থেকে সিলেটে এসে ঢুকছেন যাত্রীরা। এবারে শিক্ষাবোর্ডের স্টিকার মারা একটি মাইক্রোবাস (নোহা গাড়ি) যোগে রংপুর থেকে সিলেটের আখালিয়া এলাকায় প্রবেশ করলেন ৭জন। এর মধ্যে ৬ জন পুরুষ এবং একজন নারী। তাদের কয়েকজন সুনামগঞ্জের একটি মাদাসরায় শিক্ষকতা করেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, শবিবার (২ মে) রাত ১১টার দিকে সিলেট আখালিয়া এলাকায় শিক্ষাবোর্ডের স্টিকার মারা যাত্রীর্ভতি একটি মাইক্রোবাস (নোহা) গাড়ি এসে ঢুকে একটি বাড়ির সামনে যাত্রীদের নামিয়ে গাড়িটি দ্রুত চলে যায়। এতে এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তারা ওই বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, রংপুর থেকে ৬ জন পুরুষ ও একজন নারী নিয়ে ওই গাড়িটি আসে। তাৎক্ষণিক এলাকার যুবসমাজ পুলিশে খবর দেন এবং জালালাবাদ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে দ্রুত এসে পৌছে।
এসময় পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা অসংলগ্ন কথা বলতে থাকেন। ৭জনের মধ্যে ছাতকের একটি মাদারাসার একজন শিক্ষকও ছিলেন। তবে তাদের কারো বাড়ি সিলেটে নয়। এসময় কেউই প্রশাসন এবং এলাকাবাসীকে সন্তুষজনক জবাব দিতে না পারায় যে জায়গায় থেকে তারা এসেছে অথবা তাদের স্ব স্ব স্থানে ফিরে যেতে নির্দেশ দেয় পুলিশ এবং রাত ১টার দিকে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে জালালাবাদ থানার ওসি রবিবার (৩ মে) দুপুরে বলেন, রংপুর থেকে মাইক্রোবাসে করে ৬ পুরুষ ও ১ নারী এসে আখালিয়ার এলাকার একটি বাড়িতে উঠেন। পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে যায় এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। তবে তারা কোনো সন্তুষজনক জবাব দিতে পারেনি। নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে তাদের রাতেই ছেড়ে দেয়া হয়েছে।