লকডাউন মানছে না ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী

10

সবুজ সিলেট ডেস্ক
করোনা পরিস্থিতিতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং জ্বরুরি কাজ ছাড়া বের না হওয়ার সরকারি নির্দেশ থাকলেও তা মানছে না ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী। জেলাটি লকডাউন থাকলেও জেলা শহরে দেখা গেছে উল্টো চিত্র। খুলে গেছে মার্কেট ও দোকানপাট, চলছে রিকশা, অটোরিকশাসহ প্রায় সব ধরনের যানবাহন। জনসমাগমের কারণে কিছু সড়কে দেখা গেছে যানজট।

রবিবার (৩ মে) সকাল শহরের টিএ রোড, কালীবাড়ী মোড়, ঘোড়াপট্টি ব্রিজ, কুমারশীল মোড়, পুরাতন কোটরোড সড়কে এই চিত্র দেখা গেছে। লকডাউনের মধ্যে শহরের এমন চিত্র দেখে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা এই ঘটনায় প্রশাসনকে দায়ী করেছেন। এর আগে গত ১১ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়।

শহরে এক আত্মীয়কে নিয়ে হাসপাতালে আসা মামুন মিয়া জানান, শহরে আসার আগে শুনেছি লকডাউন চলছে, এসে দেখি মানুষের জটলা। রিকশা-গাড়ির জটলা, মার্কেট দোকানপাট সবই খোলা। করোনার আগে শহরের যে স্বাভাবিক অবস্থা ছিল আজ তেমনই দেখলাম।

হাসপাতালে রোগীর সঙ্গে আসা আরেক ব্যক্তি মাহাবুবুল আলম জানান, আজকে মনে হচ্ছে শহরের মানুষ প্রাণ খুলে বাধা ছাড়াই বের হয়েছে। লকডাউন আছে কিনা জানি না। শুনেছি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থানে মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এই জনসমাগমের কারণে করোনা ঝুঁকি আরও বাড়বে।

রমজান উপলক্ষে বাজার করতে আসা মোরশেদুল ইসলাম জানান, প্রশাসনের কোনও ভূমিকা দেখিনি। তাই মানুষের উপস্থিতি শহরে বেশি। করোনা নিয়ন্ত্রণে সবাইকে সচেতন হতে হবে। প্রশাসনের ভূমিকা আরও বাড়াতে হবে।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. একরাম উল্লাহ জানান, জনসমাগম বাড়লে করোনা ঝুঁকি বাড়বে। সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করা না গেলে ঝুঁকি থেকে যাবে। যে কোনও ভাবেই হোক এটি নিশ্চিত করতে হবে।

শহরের জনসাধারণের উপস্থিতি বৃদ্ধি এবং জেলায় লকডাউন কিছুটা শিথিল করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ্-দৌলা খান জানান, জেলায় লকডাউন শিথিল করা হয়নি। তবে শহরে সাধারণ মানুষের জনসমাগম নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি।