ঈদের কেনাকাটায় দোকানপাট চালুর নির্দেশ দিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী

23

রমজানের বাজারঘাট ও ঈদের কেনাকাটার সুবিধার্থে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট চালু রাখার নির্দেশ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (৪ মে) গণভবন থেকে রংপুর বিভাগের জেলা সমূহের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছু যেহেতু একটু থমকে গিয়েছিল। এরইমধ্যে আমরা ছুটি ঘোষণা দিয়েছি ৫ মে পর্যন্ত ঘোষণা দিয়েছিলাম। সেটিকে আমরা ১৫ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে চাচ্ছি। কিন্তু সবকিছু যেহেতু রমজান মাস। এ রমজানে মাসে যাতে কেনাবেচা চলতে পারে। তার জন্য দোকান-পাঠ খোলা বা যেহেতু রোজার সময়, ঈদের কেনা বা সেহরি খাওয়া বা রোজার মাসে বাজারহাট করা, সেগুলো যাতে চলতে পারে, সেদিকে আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি রেখে সেগুলোর খোলারও মানে চালু রাখারও নির্দেশ দিয়ে দিয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি জেলায় জেলাভিত্তিক যে সমস্ত ছোটখাট ক্ষুদ্র শিল্প রয়ে গেছে সেগুলো তারা চালাতে পারবেন, সেইভাবে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।’

‘আমরা চাচ্ছি, আমাদের যেমন সরকারি অফিস আদালত সব সীমিত আকারে আমরা চালু করে দিচ্ছি। যাতে মানুষের কষ্ট না হয়। এবং সামনে ঈদ। ঈদের আগে কেনাকাটা বা যার যা দরকার সেগুলিও যেন মানুষ করতে পারে’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির চাকাটা যাতে গতিশীল থাকে, সেখানে মানুষকে সুরক্ষিত রেখে, মানুষের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রেখে সেগুলো যেন পরিচালিত হতে পারে তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘এরইমধ্যে বেশ কতকগুলো নির্দেশনা আপনারা খুব শিগগিরই পাবেন। এটা আমাদের কেবিনেট ডিভিশন থেকে সেটা ঘোষণা দেওয়া হবে। আমরা চাচ্ছি, আমাদের যেমন সরকারি অফিস আদালত সব সীমিত আকারে আমরা চালু করে দিচ্ছি। যাতে মানুষের কষ্ট না হয়। এবং সামনে ঈদ। ঈদের আগে কেনাকাটা বা যার যা দরকার সেগুলো যেন মানুষ করতে পারে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কিন্তু এখানে একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে, খুব বেশি খোলামেলা সবার সঙ্গে মেশা বা এক জায়গায় জড়ো হওয়া, বা খুব বড় জনসমাগম করা এই জায়গা থেকে সবাইকে মুক্ত থাকতে হবে। কারণ সেখানে কিন্তু সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়ে গেছে।’

সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে আরও জানান করোনাভাইরাসের কারণে সাধারণ ছুটি ১৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। প্রথম দফায় ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে আরও ৪ দফা বাড়িয়ে ছুটির মেয়াদ ৫ মে পর্যন্ত করা হয়।

এই সাধারণ ছুটির মধ্যেই সরকার পোশাক কারখানাসহ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ দফতর সীমিত আকারে খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া সরকারের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় সীমিত আকারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে রেকর্ড সংখ্যক নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড ১৯) আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। একদিনে শনাক্ত হয়েছেন ৬৬৫ জন নতুন রোগী। একইসময়ে মারা গেছেন আরও দুইজন।

এ নিয়ে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৪৫৫ জন। আর আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৭৭ জনের।