সবুজ সিলেট ডেস্ক
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে স্বামী পরিত্যক্তা এক তরুণীকে দল বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। দুই নৈশ্য প্রহরীসহ তিনজন মিলে তরুণীটির ওপর রোববার মধ্যরাতে পাশবিক নির্যাতন চালান। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই অভিযুক্তকে সোমবার দুপুরে গ্রেপ্তার করেছে।
উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা ওই তরুণী (১৮)। বিয়ে হলেও স্বামী পরিত্যক্তা হয়ে বাবার সংসারে বসবাস করছিলেন তিনি। মানসিক সমস্যা থাকায় ওই তরুণী প্রায়ই রাতের বেলা বাইরে চলে যেতেন ঘোরাঘুরির জন্য। পরে পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজে বাড়ি নিয়ে যেতো। রোববার রাতেও ওই তরুণী বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাড়ির কাছেই বটতলা বাজারের চলে যান। মেয়েটিকে একা পেয়ে নজর পড়ে বাজারের নৈশ্য প্রহরী আবদুল মান্নান (৫৬), নূরুল ইসলাম (৪৫) ও আবদুল বারেক (৫৮) নামের আরেক ব্যক্তির। তারা সবাই ভাসা গোকূল নগর গ্রামের বাসিন্দা। মান্নান ও নূরুল ইসলাম নৈশ্য প্রহরী হিসেবে কাজ করলেও বারেক বাজারে ঘুরতে গিয়েছিলেন।
গভীর রাতে মেয়েটিকে একা পেয়ে বাজারের পাশের ইটভাটার দক্ষিণ দিকের একটি স্থানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন আবদুল মান্নান, নূরুল ইসলাম ও আবদুল বারেক। এসময় মেয়েকে খুঁজতে থাকা বাবা টর্চের আলো ফেললে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। পরে সোমবার সকাল ১১টার দিকে থানায় মেয়েকে নিয়ে হাজির হয় বাবা। নির্যাতনের বর্ণনা শুনে ঈশ্বরগঞ্জ থানার পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযানে যায়। আটক করা হয় বাজারের নৈশ্য প্রহরী আবদুল মান্নান ও ভাসা গ্রামের আবদুল বারেককে। অন্য নৈশ্য প্রহরী নূরুল ইসলাম পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সজীব ঘোষ বলেন, স্বামী পরিত্যাক্ত মেয়েটি মানসিকভাবে সমস্যাগ্রস্থ। রাতের বেলায় মেয়েটি বাইরে হাঁটতে বেরিয়ে পড়ে। রোববার রাতে অন্য দিনের মতো বেরিয়ে পড়লে তার ওপর নির্যাতন চালায় নৈশ্যপ্রহরীরা।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান আকন্দ বলেন, বাজারের নৈশ্যপ্রহরীরা মিলে ইটভাটার পাশের একটি স্থানে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। অভিযান চালিয়ে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যজনকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।