একসাথে ওসমানীর ১৬ চিকিৎসকের করোনা শনাক্ত

57

স্টাফ রিপোর্টার
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৬ চিকিৎসকের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত হওয়া সকলেই মেডিকেল কলেজের ৫৩তম ব্যাচের শিক্ষানবিস (ইন্টার্ন) চিকিৎসক।

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে তাদের শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।

এ ব্যাপারে ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মইনুল হক ও ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল ধরের সাথে যোগাযোগ করে তাদের পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার (৫ মে) সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওসমানী মেডিকেলের ১৬ জন ইন্টার্ন চিকিৎসকের নমুনা পরীক্ষা করে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। ঢাকার ল্যাবে তাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। গতকাল বেশ গভীর রাতেই তাদের আক্রান্তের বিষয়টি আমাদের জানানো হয়।

হাসপাতালটির একাধিক চিকিৎসক জানিয়েছেন, সোমবার রাতে ১৬ শিক্ষানবিস চিকিৎসক শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই চিকিৎসকদের ফেসবুক গ্রুপে এ ব্যাপারে আলোচনা শুরু হয়।

ওই গ্রুপে ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মইনুল হক লিখেন- ‘৫৩তম ব্যাচ, তোমাদের আবার পরীক্ষা করা হবে। ভয়ের কোনো কারণ নাই। ইনশাল্লাহ নেগেটিভ হবে। আমরা তোমাদের সাথেই আছি- অধ্যক্ষ সিওমেক।’

এই গ্রুপে ওসমানী মেডিকেল কলেজের সাবেক এক শিক্ষার্থী, যিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন, তিনি সোমবার রাতে লিখেন- ‘সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ৫৩তম ব্যাচের (ইন্টার্ন চিকিৎসক) ১৬ জনের করোনা পজেটিভ আসছে আজকে। আশাকরি উর্ধতন কর্তাব্যক্তিরা অতি দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন।’

এরআগে গত ২৩ এপ্রিল এই হাসপাতালের এক শিক্ষানবিস চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। তিনিও হাসপাতালের ইন্টার্ন হোস্টেলেই রয়েছেন। ওই চিকিৎসক শনাক্ত হওয়ার পর ওসমানীর ৭৮জন শিক্ষানবিস চিকিৎসককে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। এই কোয়ারেন্টিনে থাকা ৭৮ জনের মধ্য থেকেই সোমবার ১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়।

আর গত ৫ এপ্রিল ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈনউদ্দিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। তিনিই করোনা শনাক্ত হওয়া সিলেটের প্রথম রোগী। গত ১৫ এপ্রিল ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।