সবুজ সিলেট ডেস্ক
মে মাসের তৃতীয় এবং চতুর্থ সপ্তাহে বাংলাদেশে করোনা পিক সময় আসতে পারে। এ সময়ে এসে লকডাউন শিথিল করা রীতিমতো এলার্মিং হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাছাড়া সরকারের সমন্বয়হীনতা ও জবাবদিহিতার অভাব আর দুর্নীতির ফলে দেশে দুর্ভিক্ষ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মঙ্গলবার (৫ মে) দুপুরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দলটির অবস্থান জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপাসনের গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মলনে ফখরুল জানান দেশের বিভিন্ন স্থানে ১২ লাখ মানুষের মাঝে বিএনপির পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তা করা হয়েছে।
শ্রমিকদের বেতনের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ প্যাকেজ দেয়া হলেও অধিকাংশ শ্রমিক বেতন পাননি বলে অভিযোগ করেন ফখরুল। তাছাড়া সরকার ঘোষিত ৯৫ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজের ৭৭% সহায়তা ব্যাংকঋণ উল্লেখ করে তিনি বলেন এতে সরকারি অর্থায়ন খুবই কম। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে মনিটরিং কমিটি গঠনের আগেই কারখানা খুলে দেয়ায় অনেক শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানান তিনি। এ ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব রক্ষায় সরকারের বিপরীতমুখী স্ববিরোধী চিত্র ফুটে ওঠেছে।
তবে অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট হলেও সরকার এখনো করোনা মোকাবেলায় আন্তরিক হলে জরুরি পদক্ষে নেয়ার সুযোগ আছে বলে মনে করে দলটি। সেক্ষেত্রে দিন আনে দিন খায় মানুষদেরকে ৩ মাস ৫ হাজার টাকা করে ১৫ হাজার টাকা নগদ টাকা সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে প্রদান করলে মানুষ ঘরে থাকবে বলে মনে করে দলটি। তাছাড়া সংকট কাটাতে প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদদের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠনের দাবি পুর্নব্যক্ত করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ত্রাণ নিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য তুলে ধরে দ্রুতবিচার ট্রাইবুনালে ত্রাণ আত্মসাতকারীদের শাস্তি দাবি করে সামরিক বাহিনীর ওপর ত্রানের দায়িত্ব প্রদানের দাবি করা হয়। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের ৬ মাসের শিক্ষাব্যয় সরকরকে বহনের আহ্বান জানানো হয় বিএনপির পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, গত ৩ মে করোনা নিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে দলটির স্থায়ি কমিটির বৈঠকে এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।