যুক্তরাষ্ট্রে এইচওয়ান-বি ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনের সময় বাড়ল ২ মাস

13

কামরুজ্জামান হেলাল, যুক্তরাষ্ট্র:

যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার জন্য জরুরি এইচ-ওয়ানবি ভিসার আইনকানুন কিছুটা শিথিল করছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। খবরে বলা হয়েছে, ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জন্য আরও ৬০ দিন সময় দেওয়া হল। মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন দফতরের (ইউএসসিআইএস) তরফে শুক্রবার এ কথা জানানো হয়েছে। এও বলা হয়েছে, যাঁরা আমেরিকায় পাকাপাকি ভাবে থাকার উদ্দেশে গ্রিন কার্ড পেতে চান, তাঁরাও আবেদন জানানোর জন্য বাড়তি দু’মাস সময় পাবেন। এইচ-ওয়ানবি ভিসা নিয়ে আমেরিকায় কর্মরত বিদেশিদের মধ্যে ভারতীয়দের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। ইউএসসিআইএস-এর তরফে জানানো হয়েছে, আবেদন গৃহীত হওয়ার জন্য নথিপত্র জমা দিতে এ বার আরও দু’মাস সময় পাওয়া যাবে। ওই সময়ের মধ্যে আবেদনকারীরা ‘আই-২৯০বি’ ফর্ম পূরণ করতে পারবেন। পারবেন ‘এন-১৪’-সহ নানা ধরনের জরুরি ফর্ম পূরণ করতে। আমেরিকায় থেকে কাজ করার জন্য কেন এইচ-ওয়ানবি ভিসার মেয়াদ বাড়ানো প্রয়োজন বা কেন গ্রিন কার্ডের আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো দরকার, তা জানানোর জন্য আগেই আবেদনকারীদের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। করোনা সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় সেই সময়সীমা এগিয়ে নিয়ে আসারও তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। ফলে, এইচ-ওয়ানবি ভিসা নিয়ে আমেরিকায় কর্মরতদের অনেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। কারণ, জুন শেষ হলেই তাঁদের দেশে ফিরে যেতে হত। সে ক্ষেত্রে যাঁরা স্কলারশিপ বা অন্য কোনও আর্থিক অনুদান নিয়ে মার্কিন মুলুকে কাজ বা গবেষণা করছিলেন, তাঁদের দেশে ফিরে গিয়ে বা তার আগেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই অর্থ পরিশোধ করতে হতো। ইউএসসিআইএস জানিয়েছে, ওই দু’মাসের মধ্যে অ্যাপিল বা মোশনের নোটিসও জমা দিতে পারবেন। এ ছাড়াও তাঁরা ‘নোটস অফ ইনটেন্ট টু ডিনাই’, ‘নোটিশ অফ ইনটেন্ট টু রিভোক’, ‘নোটিশ অফ ইনটেন্ট টু রেসিন্ড’ এবং ‘নোটিশ অফ ইনটেন্ট টু টার্মিনেট রিজিওনাল ইনভেস্টমেন্ট সেন্টার্স’-এর আবেদনও জানাতে পারবেন। ভিসা বা গ্রিন কার্ডের আবেদনের মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারে যে ট্রাম্প প্রশাসনের আপাতত যে আপত্তি নেই, তার ইঙ্গিত মিলেছে ইউএসসিআইএস-এর দেওয়া বিবৃতিতেই। যাতে বলা হয়েছে, ‘‘যাতে কর্মরতদের সংখ্যা না কমে, তাঁদের সম্প্রদায়গত ভারসাম্যে খুব তারতম্য না ঘটে, তারই চেষ্টা চালাচ্ছে ইউএসসিআইএস। যাঁরা অভিবাসনের জন্য প্রদত্ত সরকারি সুযোগসুবিধা পেতে চান, তাঁদের কথাও গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হচ্ছে।’’