সবুজ সিলেট ডেস্ক
করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে মানুষের জীবনের কথা চিন্তা করে আগামী ঈদ বাজারের জন্য খুলছে না দেশের সর্ববৃহৎ শপিং মল বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স।
বসুন্ধরা গ্রুপের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মোহম্মদ আবু তৈয়ব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বসুন্ধরা গ্রুপের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মোহম্মদ আবু তৈয়ব জানান, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের নির্দেশেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বসুন্ধরা গ্রুপের এমন সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করে মার্কেটের ব্যবসায়ীরাও ঈদের সময় মার্কেট না খোলার পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তাদের সঙ্গে আমাদের আলাপ-আলোচনা হয়েছে। বসুন্ধরা গ্রুপের সব সিদ্ধান্ত মেনেই ব্যবসা পরিচালনা করবেন, এমন শর্তেই চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তারা।
ঈদের সময় বসুন্ধরা সুপার মল না খোলার সিদ্ধান্তে সরকারের কোনও আদেশ বা নির্দেশ অমান্য করা হবে না জানিয়ে মোহম্মদ আবু তৈয়ব জানান, শুধু বাংলাদেশ নয়, এটি এই অঞ্চলের বৃহৎ শপিং মল। এখানে সীমিত পরিসরে ব্যবসা পরিচালনা করা বা দোকান খোলার কোনও সুযোগ নাই। ঈদের সময় এ মার্কেট খুললে প্রতিদিন কয়েক লাখ মানুষের সমাগম হবে। তা কোনভাবেই রোধ করা যাবে না। আর এমনটি যদি হয়, তাহলে সেখানে স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দেবেই। এতে কোনও সন্দেহ নাই। তাই সাধারণ মানুষের জীবনের কথা চিন্তা করেই বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান এমন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বসুন্ধরা সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী ও চিতা ডিজাইনের পরিচালক আবদুল আলীম বলেন, ‘ঈদের সময় মার্কেট যে খুলবে না তা আমরা এখনও জানি না। তবে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১০ মে রোববার থেকে মার্কেট খুলছে জেনে আমরা মোটামুটি প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তবে মার্কেট খোলা না খোলার বিষয়টি নির্ভর করছে মালিক সমিতির সিদ্ধান্তের ওপর। সমিতি যে সিদ্ধান্ত দেবে আমরা সেই সিদ্ধান্তই মেনে নেবো।
বসুন্ধরা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির নেতা গোলাম মওলার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, বসুন্ধরা সিটি শপিং মল ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বাংলাদেশে অবস্থিত সর্ববৃহৎ শপিং মল। রাজধানীর পান্থপথের সোনার গাঁ হোটেলের নিকটবর্তী সার্ক ফোয়ারার পশ্চিম দিকে বসুন্ধরা সিটি শপিং মল অবস্থিত। মার্কেটটি ১০ তলা বিশিষ্ট। মার্কেটের মধ্যে দুই হাজার ৯০০টি দোকান রয়েছে। ব্লক রয়েছে চারটি। এই শপিং মলে দুই তলা বিশিষ্ট আন্ডার গ্রাউন্ড রয়েছে। শপিং মলের গ্রাউন্ড ফ্লোরে ১২০০টি গাড়ি পার্ক করা যায়। নিরাপত্তার জন্য প্রশিক্ষিত ৪৫০ জন নিরাপত্তাকর্মী আছে এই মার্কেটে।