সবুজ সিলেট ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনা বংশোদ্ভূত এক অধ্যাপকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের পিটসবার্গে নিজ বাসভবনে বিং লিউ নামের ওই অধ্যাপকের লাশ উদ্ধার করা হয়। সম্প্রতি করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণা করছিলেন ৩৭ বছর বয়সী বিং লিউ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি আজ বৃহস্পতিবার এ খবর জানিয়েছে।
বিং লিউয়ের সহকর্মীরা বলছেন, করোনাভাইরাস নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধানের দ্বারপ্রান্তে ছিলেন বিং লিউ।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পিটসবার্গ শহরে নিজ বাড়িতে মাথা ও ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় লিউয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ আরো বলছে, এক বন্দুকধারীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর নাম হাও গু। ধারণা করা হচ্ছে, লিউকে হত্যার পর নিজ গাড়িতে যাওয়ার সময় আত্মহত্যা করেছেন তিনি। কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই ব্যক্তি একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। গোয়েন্দারা বলছেন, লিউ ও গু একে অন্যের পরিচিত ছিলেন।
তবে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত বর্তমান পরিস্থিতি ও গবেষণাকে ঘিরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে কি না, এ বিষয়ে কোনো তথ্য প্রমাণ নেই তদন্তকারীদের কাছে।
এক বিবৃতিতে লিউয়ের সহকর্মীরা তাঁকে অসামান্য একজন গবেষক হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যিনি কোভিড-১৯ সংক্রমণের সেলুলার মেকানিজমগুলো বোঝার জন্য ‘অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ অনুসন্ধানের পথে’ ছিলেন।
সহকর্মীরা লিউয়ের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে জানান, লিউয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তাঁর অসমাপ্ত গবেষণার কাজটি যেন সম্পন্ন করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণার কাজ চালানোর আগে সিঙ্গাপুরে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক ও পিএইচডি অর্জন করেছিলেন লিউ।
এদিকে লিউয়ের হত্যাকাণ্ড ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।
এরই মধ্যে চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্ল্যাটফর্ম ওয়েবোর এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘সম্ভবত লিউ জেনে গিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ল্যাব থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।’
এ ধরনের অসংখ্য গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন স্থানে। অনেকেই মনে করছেন, লিউ হয়তো করোনাভাইরাসের উৎসের রহস্য প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন।
এর আগে কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই এক চীনা কর্মকর্তা দাবি করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রই এ ভাইরাসের উৎসস্থল। এবং যুক্তরাষ্ট্রের কোনো এক সেনা সদস্য ভাইরাসটি চীনের উহান শহরে নিয়ে এসেছেন।
এক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন, এটি খুবই অস্বাভাবিক একটি ঘটনা। সম্ভবত অন্ধকারে অনেক তথ্য লুকানো আছে।
অনেক ওয়েবো ব্যবহারকারীরা বলছেন, সম্ভবত চীনের বাসিন্দা হওয়ার কারণে এমন পরিণতি হয়েছে লিউয়ের।