সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না সিলেটের ব্যবসায়ীরা

9

স্টাফ রিপোর্টার
ঈদের আগে শপিংমল, মার্কেট ও দোকানপাট খোলা রাখা নিয়ে সিলেটের ব্যবসায়ীদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। নেতৃবৃন্দের অনেকেই ঈদ পর্যন্ত শপিংমল বন্ধ রাখার পক্ষে। তবে কেউ কেউ ১০ মে থেকে দোকানপাট খুলতে চান।

ভিন্ন মত থাকায় এখন পর্যন্ত শপিংমল খোলা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত পৌছতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। এনিয়ে শুক্রবার বিকেলে সিলেটের বিভিন্ন মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি, দোকান মালিক সমিতি ও ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের নেতৃবৃন্দের নিয়ে সভা আহ্বান করেছে সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। এই সভায়ই শপিং মল খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে নগরীর নয়াসড়ক এলাকার ফ্যাশন হাউস, শপিংমলসহ দোকানপাট না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াসড়ক ব্যবসায়ী সমিতি। বৃহস্পতিবার দুপুরে বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি মাহিউদ্দিন আহমদ সেলিম।

এরআগে বুধবার সকালে সিলেটের ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে এনিয়ে বৈঠকে বসেন সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজী এম. এমদাদুল ইসলাম। বৈঠকে ব্যবসায়ীদের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দেওয়ায় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ১০ মে থেকে সিলেটের বিউটি পার্লার ও সেলুন না খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব না হওয়া এগুলো বন্ধের সিদ্ধান্তে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বৈঠকের বিষয়ে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রহমান রিপন বলেন, ওই বৈঠকে ২৫ শতাংশ না ব্যবসায়ী শপিংমল ও দোকানপাট না খোলার পক্ষে মত দিয়েছেন। ফলে এনিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছা যায়নি।

তিনি বলেন, সাধারণ ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে আমরা বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে সম্প্রতি ৫/৬ ঘণ্টা দোকান খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেই। এই চিঠির প্রেক্ষিতে সরকার ১০ মে থেকে শপিংমল ও দোকানপাট খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন ব্যবসায়ীরাই সিদ্ধান্ত নেবেন তারা নিজেদের প্রতিষ্ঠান ও মার্কেট খোলা রাখবেন কী না।

তবে সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ সমিতির সভাপতি মখন মিয়া বলেন, বেশিরভাগ ব্যবসায়ী দোকান না খেলার পক্ষে। দেশের এরকম পরিস্থিতিতে দোকানপাট খোলা হলে ঝুঁকি আরও বাড়বে।

নগরীর আল হামরা শপিং সিটি ব্যবসায়ীর সভাপতি শামসুল আলম বলেন, আমাদের মার্কেটের বেশিরভাগ ব্যবসায়ী মার্কেট খোলার বিপক্ষে। এখানে ৩২০টি দোকান আছে। বিভিন্ন জেলার মালিক-কর্মচারী রয়েছেন। তারা এখন সিলেটে আসবেন কিভাবে। কিংবা আসলে রোগবালাই নিয়ে আসছেন কী না তা বুঝবো কিভাবে? ফলে আমি ব্যক্তিগতভাবেও বন্ধ রাখার পক্ষে।

দোকান পাট বন্ধ রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন সিলেট চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক আব্দুর রহমান জামিলও।