কমলগঞ্জ প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারে কমলগঞ্জ উপজেলার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর হাটবাজার ও দোকানে মনিটরিং ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় দুটি প্রতিষ্ঠানকে ২৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৭ মে) জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহা-পরিচালকের সার্বিক নির্দেশনা এবং মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিনের নেতৃত্বে কমলগঞ্জ থানার পুলিশ ফোর্সের সহযোগিতায় কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
উক্ত অভিযানে সাংবাদিকবৃন্দ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এই সময় শমসেরনগর রোড, ভেতরবাজার, মাছবাজার, মুন্সিবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় তদারকি করে ব্যবসায়ীদের সর্বনিম্ন লাভে পণ্য সামগ্রী বিক্রয় করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
খুচরা ব্যবসায়ীদের ক্রয় ভাউচারের সাথে বিক্রয়মূল্য যাচাই করা হয়। অনেক মানুষের আয় কম এবং অনেকের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে উল্লেখ করে ব্যবসায়ীদেরকে সর্বনিম্ন লাভে পণ্য বিক্রয় করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
উক্ত তদারকি অভিযানে মূল্য তালিকা না রাখা, অনৈতিক ভাবে রসুনের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা, তথ্য গোপন করা, ওজনে কম দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে মাছবাজারে অবস্থিত শিপন মিয়ার মাছের দোকানকে ৪ হাজার টাকা, মুন্সিবাজারে অবস্থিত মেসার্স সালাউদ্দিন ষ্টোরকে ২৫ হাজার টাকাসহ মোট ২৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
পেঁয়াজ, রসুন, আদা, চাল, তেল, শাক-সবজি, কাঁচামালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী ন্যায্য মূল্যে প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং কেউ যাতে খাদ্য মজুত করে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করতে না পারে, ভোগ্য পণ্য সামগ্রীর দাম যেন কেউ অনৈতিক ভাবে বাড়াতে না পারে সেই ক্ষেত্রে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং কার্যক্রম চলমান থাকবে।