সিলেটের সবকটি উপজেলায় ২২শ’ ১৭ টন চাল বিতরণ, নতুন তালিকায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার জনের নাম

47

এম.এ.রউফ::
করোনাভাইরাসের শুরুর দিক থেকে বর্তমানে অর্ধেকেরও বেশি চাহিদাপত্র বেড়েছে সিলেট জেলায়। প্রতি সপ্তাহে নতুন নতুন চাহিদাপত্র প্রেরণ করছেন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা। সে চাহিদাপত্র সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রস্তুত করে পাঠাচ্ছেন সিলেট জেলা ত্রাণ অফিসে।
কোভিড-১৯ এর কারণে বন্দি জীবন কাটাচ্ছে মানুষ। ব্যতিক্রম নয় সিলেটেও। করোনায় লকডাউনের ফলে সিলেটের কর্মহীন মানুষের জীবন যাত্রায় নেমে এসেছে মেঘের আঁধার। সরকার অসহায় মানুষের খাদ্য সহায়তায় চালিয়ে যাচ্ছে আপ্রাণ চেষ্টা। সিলেটের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সে অনুযায়ী তালিকা তৈরী করছেন প্রতিনিয়ত। সিলেটের প্রতি উপজেলায় কর্মহীন, অসহায় মানুষের তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হচ্ছে। সিলেট জেলা থেকে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪শ’ ৯৪ জনের খাদ্য সহায়তার জন্য তালিকা পাঠানো হয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে।
সিলেট জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মো. শফিক উদ্দিন জানান, ত্রাণের চাহিদা আরো বাড়তে পারে। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত সিলেটের সবকটি উপজেলা মিলিয়ে ২২শ’ ১৭ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। সেই সাথে দেয়া হয়েছে ৮৭ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
জেলা ত্রাণ অফিস স‚ত্রে জানা গেছে, সিলেটের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা পত্র এসেছে গোয়াইনঘাট উপজেলা থেকে। কারণ হিসেবে জানা গেছে, এ উপজেলায় কয়েক হাজার পাথর শ্রমিকের বসবাস। পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে এসব শ্রমিক। এ উপজেলায় ত্রাণের তালিকায় রয়েছে ৪৬ মানুষের নাম। আর সবচেয়ে কম মানুষের তালিকায় রয়েছে ফেঞ্ছুগঞ্জ উপজেলা। কারণ, এ উপজেলায় লোক সংখ্যাও কম।
জানা গেছে, এ পর্যন্ত সিলেট জেলার মোট ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪শ’ ৯৪ জনের খাদ্য সহায়তার জন্য তালিকা করা হয়েছে। তন্মধ্যে জকিগঞ্জ উপজেলায় ২৮ হাজার ৬শ’ ৮৩, কানাইঘাট ৩১ হাজার ৭শ’ ৯৬, সিলেট সদর উপজেলায় ৪২ হাজার ৭শ’ ৮, বালাগঞ্জ উপজেলায় ১৯ হাজার ৩ শ’ ১৪, বিশ্বনাথে ২০ হাজার ১’শ ৯০, ওসমানীনগরে ৩১ হাজার ৯, গোলাপগঞ্জে ২৮ হাজার ৬শ’ ৮৩, বিয়ানীবাজারে ৩৩ হাজার ২শ’ ৬৭, জৈন্তাপুর উপজেলায় ২৯ হাজার ৮শ’ ৬৪, গোয়াইনঘাটে ৪৬ হাজার ৫২, কোম্পানীগঞ্জে ২২ হাজার, দক্ষিণ সুরমায় ৩২ হাজার ৩শ’ ৪২ ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ১৮ হাজার ৫শ’ ৮৬ জন রয়েছেন।