দেশে করোনা চিকিৎসায় ২০ মে শুরু হতে পারে ‌‌‌‘রেমডেসিভির’ ব্যবহার

21

সবুজ সিলেট ডেস্ক
মহামারি করোনাভাইরাস চিকিৎসায় বেশ কার্যকর অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ ‘রেমডেসিভির’। তাই এরই মধ্যে ওষুধটির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই ধারাবাহিকতায় হাঁটছে বাংলাদেশও। ইতোমধ্যে দেশের ছয় ওষুধ কোম্পানিকে রেমডেসিভির উৎপাদনের অনুমোদন দিয়েছে।আগামী ২০ মে’র মধ্যে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ওষুধ রেমডেসিভির ব্যবহার শুরু হওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ডিজি মেজর জেনারেল মাহাবুবুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (০৭ মে) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে কয়েকটি ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।

ভারতের হাইড্রক্সিক্লরোকুইনে কাজ হচ্ছে না, অভিযোগ সেই বিজ্ঞানীর
করোনা প্রতিরোধে রেমডিসিভির প্রয়োগে ভালো ফল পাওয়ার কথা জানাচ্ছে বিভিন্ন দেশ। বাংলাদেশ এরই মধ্যে আটটি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে এই ওষুধ উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে। চলতি মাসের ২০ তারিখের মধ্যে রেমডিসিভির পাওয়ার আশা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের।

মেজর জেনারেল মাহাবুবুর রহমান বলেন, রেমডেসিভির আসলে ইবোলা রোগের জন্য হয়েছিল। এটা পুরনো মেডিসিন। আমরা ধারণা করেছি এটা কাজে আসতে পারে।

ভ্যাকসিন উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে এমন দুটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে রয়েছে বলেও জানায় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

অনুমোদন পাওয়া ছয় কোম্পানি হলো বেক্সিমকো, বিকন, এসকেএফ, ইনসেপ্টা, স্কয়ার এবং হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।

রেমডেসিভির বেশ কয়েকটি দেশে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মধ্যে থেকে করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ওষুধটি করোনাভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট শ্বাসকষ্টের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

এ ছাড়া নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনের এক সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, করোনাভাইরাস আক্রান্ত এবং মারাত্মক লক্ষণযুক্ত ৫৩ জন রোগীর ক্ষেত্রে রেমডেসিভির শতকরা ৭০ ভাগ কার্যকর। কিন্তু এক চতুর্থাংশের কিডনি ও লিভারের জটিলতাসহ বিভিন্ন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

আমেরিকান কোম্পানির ওষুধ রেমডেসিভির মূলত সংক্রমক রোগ প্রতিরোধী। এটি ইবোলা ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হয়েছিল।