উহানের বিতর্কিত ল্যাবের সঙ্গে যুক্ত ফ্রান্সও, চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনল বেজিং

22

আন্তর্জাতিক ডেস্ক::
উহানের বিতর্কিত ল্যাব থেকেই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। এমনটাই অভিযোগ বিশ্বের। যদিও বারবার চিনের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এই বিতর্কের মধ্যেই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনল বেজিং। উহানের ‘বিতর্কিত’ ল্যাবের সঙ্গে ফ্রান্সও যুক্ত রয়েছে। বেজিংয়ের দাবি, ল্যাবটি নাকি চিন এবং ফ্রান্স যৌথভাবে চালায়। চিনের এহেন দাবি সামনে আসতেই তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।যদিও চিনের এহেন দাবি করলেও চিনের তরফে এই বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। চিনের তরফে এই বিষয়ে আরও দাবি করা হয়েছে উহানের ল্যাবে কর্মীরাও সকলে ফ্রান্স থেকেই প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। পাশাপাশি, এদিন অপ্রত্যাশিতভাবে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তদন্তে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে জি জিনপিং সরকার। চিনের হুবেই প্রদেশের উহানের ল্যাবই মারণ ভাইরাসের উৎস।বারবার করোনা ভাইরাসে বিধ্বস্ত আমেরিকার তরফে।
বৃহস্পতিবার আমেরিকার বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও বলেছেন, চিনের পরীক্ষাগারেই যে করোনা ভাইরাস তৈরি হয়েছিল, সেব্যাপারে তাঁদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রক। তাদের মুখপাত্র হু চুনিং বলেন, উহানের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির ওই ল্যাব চিন ও ফ্রান্স সরকারের যৌথ সহযোগিতায় তৈরি। সমস্ত আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন মেনেই এটি তৈরি করা হয়েছে এবং পরিচালনা করা হয়। পম্পেও হয়তো সেকথা জানেন না।
বেজিং আরও জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে তারা প্রায় ১৫০টি দেশকে সাহায্য করেছে। চিনের এহেন মন্তব্যের পরেই বিশ্বজুড়ে বিতর্কের ঝড়। সম্প্রতি প্যারিসের ‘ইনস্টিটিউট প্যাস্তুর’-এর এক গবেষক জানিয়েছেন, কোনও এক অজানা উৎস থেকে করোনা ছড়িয়েছে চিনে। এই ভাইরাস নাকি চিন আ ইতালি যেখানে ফ্রান্সের আগে সংক্রমণ ছড়িয়েছে সেখান থেকে আসেনি। গবেষক ড. সিলভি ভ্যান ও এতিয়েন সিমোনের নেতৃত্বেন ওই গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য।
ফ্রান্সে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ২৮ হাজার। মৃত্যু হয়েছে ২৩০০০ মানুষের। ইউরোপের সব দেশের মধ্যে প্রথম করোনা ধরা পড়ে এই ফ্রান্সেই। সেটা ছিল জানুয়ারি মাস। চিন সহ একাধিক দেশ থেকে আসা বেশ কয়েকজনের শরীরে প্রথম কোভিড ১৯ ধরা পড়ে।