সবুজ সিলেট ডেস্ক
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার আইসোলেশন ইউনিটে দ্বিতীয় তলায় ভর্তি থাকা এক তরুণী তৃতীয় তলার এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। তাদের এখানে রাখা হয়েছে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য। অনেকবার নিষেধ করার পরও আইসোলেশনে থাকা ওই তরুণ ও তরুণী তাদের নিজ নিজ তলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে কথা বলছেন।
অপরদিকে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকার পরও তিনি উপজেলার গোপীনাথপুর ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি হওয়া নিজের স্ত্রীর সঙ্গে থাকছেন এক ব্যক্তি। চিকিৎসকেরা অনেক চেষ্টা করেও তাকে সেখান থেকে সরাতে পারেননি।
ওই দুটি ঘটনার বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন এখানে দায়িত্ব পালনকারী কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা শাহিন রেজা।
বুধবার রাতে এই চিকিৎসা কর্মকর্তা তার ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে গোপীনাথপুর ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির আইসোলেশন ওয়ার্ডের কথা উল্লেখ করে জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত স্ত্রীকে একা আইসোলেশন ইউনিটে যেতে দেননি স্বামী। সঙ্গে তিনিও রয়ে গেছেন।
অপরদিকে আইসোলেশন ওয়ার্ডের দ্বিতীয় তলায় থাকা তরুণী এবং তিনতলায় থাকা এক তরুণ প্রেম করছেন।
ফেসবুকের এই পোস্টের সত্যতা চিকিৎসক শাহিন রেজা নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। গোপীনাথপুর ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন ইউনিটের দায়িত্বে থাকা শাহিন রেজা বলেন, ‘বুধবার করোনায় আক্রান্ত নারীকে আইসোলেশনে আনা হলে তার স্বামী সঙ্গে আসেন। তারা একই সঙ্গে আইসোলেশনে থাকতে চান। বিব্রতকর পরিস্থিতিতে তাদের আইসোলেশনে পাঠাতে বাধ্য হয়েছি।’
এ বিষয়ে জয়পুরহাটের সিভিল সার্জন সেলিম মিঞা বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত এক নারীকে আইসোলেশন ইউনিটে আনা হলে তার স্বামী তার সঙ্গে ঢুকে পড়েন। স্বামীকে আইসোলেশন থেকে বের করে আনার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আইসোলেশনেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। যদি কেউ নিয়ম না মেনে চলেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’