হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নূরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মুখলিছ মিয়ার বিরুদ্ধে সরকারি চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম পাওয়া গেছে। চেয়ারম্যানের হেফাজত থেকে চলমান করোনাভাইরাস সংকটে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১ হাজার ৭শ’ কেজি চাল জব্দ করা হয়েছে। আরও ৩শ’ কেজি চালের হদিস পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও দরিদ্র মানুষের টিপসই নিলেও ভিজিডি কর্মসূচির চাল না দিয়ে তা তসরুফ করে নেওয়ার অভিযোগেরও সত্যতা পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (৯ মে) রাত ৮টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াছিন আরাফত রানা নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এসব চাল জব্দ করে এবং অভিযোগের সত্যতা পায়।
অভিযানের খবর পেয়ে গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে যান ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মুখলিছ মিয়া। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াছিন আরাফাত রানা জানান, গত ২-৩ মাস ধরে ভিজিডির চাল বিতরণে অনিয়ম করছেন ইউপি চেয়ারম্যান মুখলিছ মিয়া। সুবিধাভোগীদের নাম তালিকায় রয়েছে, তাদের টিপসইও রয়েছে। কিন্তু তারা চাল পায়নি।
এছাড়া চলমান করোনাভাইরাস সংকটে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা। কিন্তু প্রতি বস্তায় তিনি ৯ কেজি করে চাল ঢুকিয়ে রাখেন। এসব চালও বণ্টন না করে নিজের হেফাজতে রাখেন। ২ হাজার কেজি চাল ওই ইউনিয়নে বরাদ্দ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১ হাজার ৭শ’ কেজি পাওয়া গেলেও ৩শ’ কেজির কোন হদিস পাওয়া যায়নি। ১ হাজার ৭শ’ কেজি চাল জব্দ করে শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ এবং মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ এর ৬ (৫) ধারায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাম্মেল হোসেন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এঘটনার পর থেকে চেয়ারম্যান মুখলিছ মিয়া পলাতক রয়েছেন।