লাইফস্টাইল ডেস্ক
দেশের প্রায় এক কোটি ২০ লাখ শিশু-কিশোর সাইবার ঝুঁকিতে আছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
শুক্রবার (৮ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের স্কুল-কলেজ গত ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে। লকডাউনে ঘরবন্দি দেশের প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ শিশু-কিশোর (প্লে থেকে দশম শ্রেণি)। সরকারি নির্দেশ অনুযাযী স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অনলাইন ভিত্তিক ক্লাস করায় ফলে ৪ থেকে ১৪ বছরের শিশু-কিশোররা এক প্রকার বাধ্য হয়েই ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। সেই সঙ্গে ঘরে আটকে রাখলেও আমরা যে ইন্টারনেট কোমলমতি শিশু-কিশোরদের হাতে তুলে তা নিরাপদ নয়। এখনো এই মাধ্যম শিশু-কিশোরদের জন্য ব্যবহার উপযোগী হয়নি। এই কারণে গত ৬ মে জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) খুব কম বয়সের শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে সতর্ক করেছে।
তারা বলেছে, বিশ্বের প্রায় ১৫০ কোটি স্কুল-কলেজ বন্ধ। এরা লেখাপড়া, খেলাধুলা, ভিডিও গেমস দেখতে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। এতে করে তারা সাইবার ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ইন্টারনেট ও ডিভাইস স্বল্পতার কারণে যদি ৫০ শতাংশ ইন্টারনেটের বাইরেও থাকে তারপরেও প্রায় এক কোটি ২০ লাখ শিশুর ইন্টারনেটের অশুভ প্রভাব তাদের ওপর পড়বে। সেই সঙ্গে অতিমাত্রায় ব্যবহারে ইন্টারনেট আসক্তির বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
সতর্কবার্তায় বলা হয়, শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহারে নিরাপত্তার বিষয়টি টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে আমাদের জানা নেই এবং এ নিয়ে কোনো নীতিমালাও তৈরি হয়নি। ইতিমধ্যে আইটিইউ কিছু সুপারিশমালা তৈর করতে যাচ্ছে।
ইন্টারনেট ব্যবহারের বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন থাকার অনুরোধ ও সরকারকে দ্রুত ইন্টারনেটের নিরাপত্তার বিষয়টি জোরালোভাবে দেখার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।