আন্তর্জাতিক ডেস্ক
এখনো পর্যন্ত করোনার কোনো ওষুধ বা টিকা আবিষ্কৃত হয়নি। তাই বিভিন্ন ওষুধে চলছে পরীক্ষা নিরীক্ষা। এবার দেখা গেছে সংক্রমণরোধী তিনটি ওষুধ ও মাল্টিপল স্কলেরোসিস চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের সমন্বিত প্রয়োগ নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের তুলনামূলকভাবে দ্রুত সারিয়ে তুলতে পারে।
হংকংয়ের একদল চিকিৎসক শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে সিএনএন।
ল্যানসেট মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাটিতে ওই চিকিৎসকরা লিখেছেন, তারা যে ওষুধগুলোর সমন্বয়ে করোনা রোগীর চিকিৎসার কথা বলছেন তা নিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন। কিন্তু এটিও চিকিৎসার একটি পদ্ধতি হতে পারে।
হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. কোকো-ইয়ুং ইউয়েন ও তার সহকর্মীরা কয়েকটি ওষুধের সমন্বয়ে করোনাভাইরাসের চিকিৎসার বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলেন। তারা এইচআইভির ওষুধ রিটোনাভির ও লোপানিভির-এর সঙ্গে সাধারণ সংক্রমণরোধী ওষুধ রিবাভিরিন এবং মাল্টিপল স্কলেরোসিস চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ বেটা ইন্টারফেরন-এর সমন্বয় ঘটান।
গবেষকরা এমন রোগীদের বেছে নেন যাদের সবারই সাত দিন আগে (গবেষণার সময় থেকে) করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। তাদের হালকা থেকে মাঝারি মাত্রায় উপসর্গ ছিল।
ডা. ইউয়েনের সহকর্মীরা কিছু রোগীর ওপর শুধু এইচআইভির চিকিৎসায় ব্যবহৃত দু’টি ওষুধের প্রয়োগ করেন। বাকিদের ওপর এইচআইভির দু’টি ওষুধসহ সাধারণ সংক্রমণরোধী ও মাল্টিপল স্কলেরোসিস চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের ককটেল প্রয়োগ করা হয়।
যাদের ওপর ককটেল প্রয়োগ করা হয় তারা সাত দিনের মধ্যেই করোনাভাইরাস থেকে সেরে ওঠেন। আর যাদের ওপর শুধু এইচআইভির ওষুধ প্রয়োগ করা হয় তারা ১২ দিন পরও করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। তবে এই চিকিৎসায় সামান্য কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।