ছাগল খেতে চেয়েছিলেন আ.লীগ নেতা, না দেওয়ায় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে মারধর

22

সবুজ সিলেট ডেস্ক
সিলেটে প্রজননের জন্য আনা ছাগল খাওয়ার ইচ্ছে হয়েছিলো সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রনজিত সরকারের। ছাগল নিয়ে আসার জন্য তিনি তার অনুসারীদের পাঠিয়েছিলেন বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে। কিন্তু সেখানকার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা খাওয়ার জন্য ছাগল দিতে রাজি না হওয়ায় রনজিত সরকারের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা হামলা চালান।

এতে আহত হয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ডিএলও) কাজী আশরাফুল ইসলাম। তাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে সিলেটের টিলাগড় এলাকায় বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অফিসে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম।

তিনি জানান, দুপুর ১ টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট রনজিত সরকারের অনুসারীরা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে যান। এসময় রনজিতের খাওয়ার জন্য প্রজননের জন্য আনা একটি ছাগল দিতে বলেন।

কিন্তু ছাগলগুলো প্রজননের জন্য আনা হয়েছিলো। তাই খাওয়ার জন্য প্রদানে রাজি হননি জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কাজী আশরাফুল।

আমিনুল ইসলাম বলেন, পরে দলবল নিয়ে রনজিত সরকার সেখানে এসে কর্মকর্তাদের গালিগালাজ করেন এবং ডিএলও কাজী আশরাফের উপর হামলা চালান। অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তাদেরও লাঞ্ছিত করেন তারা।

হামলায় আহত আশরাফুলকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

তবে রনজিত অনুসারি ছাত্ররীগের একাধিন নেতা বলেন, বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকতূার কার্যালয়ে ভেরড়ার মাংস কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিলো। কনক নামের এক ছাত্রলীগ নেতা মাংস আনতে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। কিন্তু একপর্যায়ে কর্মকর্তাদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন কনক। এই খবর পেয়ে রনিজত সরকার ঘটনাস্থলে গেলে তিনিও বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন।

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট রনজিত সরকার বলেন, ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীর সাথে একটা সমস্যা হয়েছে শুনে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। এখন বিষয়টি আমি শেষ করে দিচ্ছি।

ছাগল আনতে পাঠানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এরকম লোক নাকি?

এ ব্যাপারে শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, খাওয়ার জন্য ভেড়া না দেওয়ায় কয়েকজন লোক প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে দুর্ব্যবহার ও হাতাহাতি করেছে বলে শুনেছি। এ ব্যাপারে ওই অফিসের কর্মকর্তারা লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।