আন্তর্জাতিক ডেস্ক::
বেজিং: করোনা সংক্রমণের পিছনে উহান বাজারের ভূমিকার কথা সম্প্রতি স্বীকার করে নিয়েছে বিশ্ব স্বাসঊ্য সংস্থা ‘হু’। আর সেইসঙ্গে উহানের ল্যাবরেটরি থেকে ভাইরাস ছড়ানোর বিষয়টি নিয়ে আগেই আঙুল তুলেছে আমেরিকা। এবার উহানের সেই গবেষণাগার সম্পর্কে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল।
এক নতুন রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, গত অক্টোবর থেকেই নাকি বন্ধ রাখা হয়েছিল উহান ল্যাব। সেলফোন থেকে পাওয়া তথ্য এমনটাই বলছে।
এনবিসি নিউজের রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন স্পাই এজেন্সি এই সংক্রান্ত ডকুমেন্ট খতিয়ে দেখেছে। এনবিসি নিউজের হাতে রয়েছে সেই তথ্য। তার থেকেই জানা যাচ্ছে যে, গত ৭ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত কোনও সেলফোন ব্যবহার করা হয়নি।
যদিও ল্যাব বন্ধ রাখা হয়েছিল কিনা, তার সরাসরি কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ‘ডেলি মেল’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন গোয়েন্দা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সেলফোন ও স্যাটেলাইট ডেটা থেকে জানা যাচ্ছে যে, ল্যাবরেটরি শাটডাউন করা হয়েছিল। যদিও ওই সংস্থা পরে জানায় যে, ওই রিপোর্ট সম্পূর্ণ নয়।
এই উহান প্রদেশের সি ফুড মার্কেটের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল আগেই। নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়েছিল ওই বাজার থেকেই। এতদিন পর্যন্ত এই নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথা হু পরিষ্কার করে কিছু বলেনি। কিন্তু শুক্রবার এই প্রথম হু জানিয়ে দিল, করোনা সংক্রমণের নেপথ্যে উহানের ওই বাজারের ভূমিকা রয়েছে।
শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ, পিটার বেন এমবারেক বলেন, “সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষেত্রে উহানের বাজারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কী হয়েছিল তা এখনও আমরা পরিষ্কার করে জানি না।”
তিনি বলেন, ‘এটা এখনও স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না জীবজন্তুদের থেকেই ওই বাজারের দোকানদারদের শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়েছে।” সুরক্ষিত ওই উহান ল্যাবে। মনে করা হচ্ছে, ওই এলাকায় কোনও এক বিশেষ ঘটনার জন্যই উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে ফোনের ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।