সিলেটে বাড়ছে জনসমাগম, শারীরিক দূরত্ব মানছে না কেউ

45
ছবি-সবুজ সিলেট
ছবি-সবুজ সিলেট

সেলিম হাসান কাওছার

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে সাধারণ ছুটির ৫০তম দিন চলছে। তবুও বেড়েই চলেছে ভাইরাসটির সংক্রমণ। এর মধ্যেও নানান কাজে বাইরে বের হওয়া মানুষজন যথাযথ শারীরিক দূরত্ব মানছেন না। উল্টো সাবধানতা উপেক্ষা করে প্রতিদিনই বাইরে মানুষের সমাগম বাড়ছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সিলেটে নগরীর এমনই চিত্র চোখে পড়েছে।

তবে সিলেট নগরীতে এক সপ্তাহ থেকে বাড়তে শুরু করেছে জনসমাগম। এতে অনেকক্ষেত্রেই লঙ্ঘিত হচ্ছে সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনা।

তাছাড়া করোনাকালের লকডাউন পরিস্থিতিতেও সিলেটের রাস্তায় যানজট। অবস্থা সামাল দিতে বেশ হিমশিম খাচ্ছেন দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা।

সিলেটে করোনার থাবায় যখন দিশেহারা বেশিরভাগ মানুষ, ঘরে থেকেও আতঙ্ক দূর করতে পারছেন না মন থেকে, ঠিক তখন একদল মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে স্বাভাবিক অবস্থার মতো প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে ঘুরছেন রাস্তায়, প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে ভিড় করছেন রাস্তাঘাটে। করছেন ঈদের মার্কেটিং।

সিলেটে প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে প্রাণঘাতি করোনাইভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। গতকাল বুধবার একদিনেই শনাক্ত হয়েছেন ২৮ জন। এই অবস্থায়ও সিলেটে সবজি বাজার থেকে মাছের বাজার, মুদি দোকান এবং ঈদ উপলক্ষে খুলে যাওয়া কিছু মার্কেট ও দোকানপাট- সবখানেই মানুষের সরগরম সমাগম। সবখানেই ভিড়।

করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সেটির কোনো বালাই নেই এখন সিলেটে। ঠাসাঠাসি করে একে অপরের শরীর ঘেঁষে দাঁড়িয়ে বাজার করছেন অনেকেই, করছেন ঈদের কেনাকাটা। ফলে ঝুঁকিতে পড়ছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। মাঝখানে ভিড়বাট্টা কিছুটা কমে এলেও এখন দিনে দিনে যেন আবার ভিড় বাড়ছেই।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মে) দুপুরে নগর ঘুরে দেখা গেছে, সবখানেই ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। ক্রেতা-বিক্রেতাদের কারও মুখে মাস্ক আছে, আবার কারও মুখে মাস্ক নেই। পাশাপাশি দাঁড়িয়ে কাপড়ের দোকানে মানুষজন দরদাম করছেন। কিছু কিছু দোকানে পা ফেলার জায়গা ছিল না। ক্রেতাদের অনেককে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে প্রকাশ্যে হাঁচি-কাশি দিতেও দেখা গেছে। করোনাভাইরাসের বিষয়টিতে যেন কারও ভ্রুক্ষেপই নেই। এ অবস্থায় সিলেটের মানুষের মধ্যে মারাত্মক হারে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে।

নগরীর লেচুবাগান এলাকার ব্যবসায়ী উজ্জল আহমদ বলেন – এ কি অবস্থা! আর ঈদের কেনাকাটা কি খুব জরুরি? এভাবে সিলেটে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকানো কি সম্ভব? মানুষ জরুরি প্রয়োজনে বাজারে আসতেই পারেন, কিন্তু একজন আরেকজনের শরীরে ঘেঁষে, প্রকাশ্যে হাঁচি-কাশি দিয়ে কেনাকাটা করছে।