স্টাফ রিপোর্টার
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দির লাশ নেয়নি পরিবার। ফলে বুধবার সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় নগরীর মানিকপিরের টিলায় কারা কর্তৃপক্ষই ওই ব্যক্তির লাশ দাফন করে।
এমনটি জানিয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. আব্দুল জলিল সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোরকে বলেন, মারা যাওয়া ব্যক্তির বাড়ি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায়। পরিবারের লোকজন গ্রামের বাড়ি তার লাশ নিয়ে যেতে রাজি হয়নি। ফলে আমরা সিটি করপোরেশনের সহযোগিতা নিয়ে লাশটি মানিক পিরের টিলায় দাফন করে। তবে এসময় ওই ব্যক্তির পরিবারের এক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
গত ১০ মে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওই কারাবন্দি। পরদিন ১১ মে নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগগার সূত্রে জানা যায়, কানাইঘাট উপজেলার দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের ওই ব্যক্তিকে একটি হত্যা মামলায় গত ৫ মার্চ কারাগারে পাঠানো হয়। গত ৮ মে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে তার শরীরে করোনার উপসর্গ থাকায় ওইদিনই শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে প্রেরণ করা হয়। ৯ মে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরমধ্যে ১০ মে তিনি মারা যান। আর ১১ মে করোনা শনাক্ত হওয়ার রিপোর্ট আসে।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, মৃত্যুর পর ওই বন্দির মরদেহ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। পরিবার মরদেহ নিতে রাজি না হওয়ায় বুধবার মানিকপির গোরস্থানে দাফন করা হয়।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. আব্দুল জলিল বলেন, কারগারে ওই বন্দির সংস্পর্শে আসা কারারক্ষী ও হাজতিসহ ১১০ জনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তাদের নমুনা পরীক্ষার জন্য সিভিল সার্জনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। শনিবার থেকে তাদের নমুনা সংগ্রহ শুরু হবে।