আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মারা গেছেন তিন লাখ ছাড়িয়েছে। এছাড়া এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৪৪ লাখ ২৯ হাজার ২২৩ জনের শরীরে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার। এরইমধ্যে ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস।
আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬৯ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ২৪ লাখ ৭২ হাজার ৮৯ জন। এদের মধ্যে ২৪ লাখ ২৬ হাজার ১৬৯ জনের শরীরে মৃদু সংক্রমণ থাকলেও ৪৫ হাজার ৯২০ জনের অবস্থা গুরুতর।
ভাইরাসটির আক্রমণে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮৫ হাজার ১৯৭ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ লাখ ৩০ হাজার ৩৪৮ জন।
মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরের অবস্থানে উঠে এসেছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩৩ হাজার ১৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ২৯ হাজার ৭০৫ জন।
মৃত্যুর তালিকার তিন নম্বরে রয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩১ হাজার ১০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ১০৪ জন।
এর পরের অবস্থানেই রয়েছে স্পেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৭ হাজার ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে অবশ্য ২য় অবস্থানে রয়েছে এ দেশটি। এখানে ২ লাখ ৭১ হাজার ৯৫ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
মৃত্যুর তালিকায় এর পরের অবস্থানে রয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৭ হাজার ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৭৮ হাজার ৬০ জন।
এদিকে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে রাশিয়ায়। আক্রান্তের হিসাবে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে দেশটি। এখানে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৪২ হাজার ২৭১ জন, মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ২১২ জনের।
এছাড়া জার্মানিতে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৯৮ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৮৬১ জনের। তুরস্কে ১ লাখ ৪৩ হাজার ১১৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এখানে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৪ হাজার মানুষের। কানাডায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭২ হাজার ২৭৮ জন, মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৩০২ জনের।
ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় চীনে। সেখানে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৯২৯ জন এবং মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৩ জন।
এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ইরানে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ১২ হাজার ৭২৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৭৮৩ জনের।