সবুজ সিলেট ডেস্ক: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগপত্রে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের স্বেচ্ছাচারিতা, অসদাচরণ, ব্যক্তিতান্ত্রিকতা ও শিক্ষকদের প্রতি অন্যায্য আচরণকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
আজ রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রেজিস্ট্রার দপ্তরের সিল ও স্বাক্ষর সম্বলিত এক চিঠিতে পদত্যাগের বিষয়টি জানা যায়।
এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যায় প্রশাসনের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে কুবির গণমাধ্যম উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ভূঁইয়া।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে হল প্রাধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. তোফায়েল হোসেন মজুমদার।
পদত্যাগপত্রে মাহমুদুল হাসান জানান, সহকারী প্রক্টরের কাজ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে প্রক্টরকে সহায়তা করা। কিন্তু যখন স্বয়ং প্রক্টরই বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো শৃঙ্খলার যবনিকাপাত করছেন, সেখানে সহকারী প্রক্টর পদে বহাল থাকা একজন শিক্ষতের নীতি-নৈতিকতা ও আদর্শের পরিপন্থী। এ কারণে আমি এই সহকারী প্রক্টর পদ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি দিচ্ছি।
পাশাপাশি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকারের কথা জানান তিনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ওনার বক্তব্য ওনিই বলতে পারেন। এখানে আমার বলার কিছু নেই। ওনি যদি অস্পষ্টভাবে না বলে স্পষ্টভাবে বলতেন কোথায় সমস্যা, তাহলে ভালো হতো।
অস্পষ্টভাবে যে কেউ বলতে পারেন।
