অনলাইন ডেস্ক: এক যুবকের সঙ্গে লঞ্চের নিচতলার সম্মুখভাগে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন এক তরুণী। দুজনে ঝগড়াও করেছিল। একপর্যায়ে তরুণীকে একটা চড় দেন ওই যুবক। এরপরই তরুণী নদীতে ঝাঁপ দেন। তবে সঙ্গে সঙ্গেই নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান এক ব্যক্তি।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে বরিশাল-ঢাকা রুটের এমভি মানামী লঞ্চ থেকে কীর্তনখোলা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল নৌবন্দরে।
এমভি মানামী লঞ্চের মাস্টার আসাদুজ্জামান জানান, এক যুবক আর এক তরুণী লঞ্চের নিচতলার সম্মুখভাগে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। তারা দুজনে ঝগড়াও করেছিল। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ওই তরুণীকে একটা চড় দেন ওই যুবক। এরপরই তরুণী নদীতে ঝাঁপ দেন। তবে এক লোক সঙ্গে সঙ্গেই নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
তিনি বলেন, নদীতে ঝাঁপ দেওয়া তরুণী আমাদের লঞ্চের যাত্রী ছিল না। তাছাড়া ঝাঁপিয়ে পড়া তরুণীর দ্রুত চিকিৎসার দরকার জন্য তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে এ ঘটনা তা আমরা জানি না।
উপস্থিত মারুফ নামে এক যুবক বলেন, প্রথমে দুজনের উচ্চবাচ্য কথা শুনি। এরপর চড়-থাপ্পড়ের ঘটনা ঘটলে মেয়েটি নদীতে ঝাঁপ দেয়। সদর নৌ থানার ওসি আব্দুল জলিল বলেন, লঞ্চ পন্টুন ত্যাগ করার কিছুক্ষণ আগের ঘটনা। তরুণী নদীতে ঝাঁপ দিলে নৌ পুলিশের সদস্য ও ঘাটে উপস্থিত থাকা লোকজন তাৎক্ষণিক নদীতে পড়া তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
