অনলাইন ডেস্ক, ফেসবুকে প্রেম, প্রেমিকাকে সামনে থেকে একনজর দেখার জন্য এক জেলা থেকে অন্য জেলায় গেলেন এক যুবক। আলআবি মৃধা নামে ওই যুবক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে বরগুনার তালতলীতে দেখা করতে যান। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে ওই যুবককে পুলিশ হেফাজতে নেয়।
আলআবি মৃধা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার তুলাই শিমুল গ্রামের জনৈক মনিরুজ্জামান মৃধার ছেলে।
আলআবি মৃধা ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কলেজ পড়ুয়া আলআবি মৃধার সঙ্গে আরিফা ইসলাম নামে এক কিশোরীর ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে প্রেম হয়। প্রেমের এক পর্যায় ম্যাসেঞ্জারে ম্যাসেজ দিয়ে দেখা করতে তালতলীর নয়াপাড়া এলাকায় আসতে বলে ওই কিশোরী।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে প্রেমিকাকে দেওয়া কথা রাখতে উপজেলার নয়াপাড়া এলাকায় আসেন আলাআবি মৃধা।
ভুক্তভোগী প্রেমিক আলআবি বলেন, ফেসবুকের মেসেঞ্জারের মাধ্যমে তার সাথে বেশ কয়েকবার কথা ও ম্যাসেজের মাধ্যমে সব সময় কথা হয়েছে। তার ফেসবুক আইডির নাম ছিল (আরিফা ইসলাম)। সে আমাকে আসতে বলেছে আমি এ এলাকায় এসেছি তার সাথে দেখা করতে। আমি এসে জানতে পারি ওটা একটি ফেক আইডি ছিলো। রাতে আমাকে আশ্রয় দিয়েছিলো স্থানীয়রা। পরের দিন সকালে ওই মেয়ের পরিবার আমাকে মারধর করে। পরে পুলিশ এসে আমাকে থানায় নিয়ে আসে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. রনি বলেন, রাতে ওই ছেলে এই এলাকায় এসেছে তার প্রেমিকাকে দেখার জন্য। পরে আমরা বিষয়টি শুনে তাকে বলেছি, তিনি যে মেয়ের জন্য এসেছেন সেই মেয়ে বিবাহিত এবং এখানে থাকে না শ্বশুর বাড়ী থাকে।
ওই গৃহবধুর শ্বশুর আবুল মিয়া বলেন, কে বা কারা ফেসবুকে আমার ছেলের স্ত্রীর ছবি নাম ব্যবহার করে ওই ছেলের সাথে কথা বলেছে। আমার ছেলের বউ এ ব্যাপারে কিছুই জানে না।
ভুক্তভোগী আলআবির মা খোরশেদা বেগম বলেন, আমার ছেলের তালতলীতে এসে প্রতারণা শিকার হয়েছে। আমি খবর শুনে এসেছি। আমার ছেলে সুস্থ ও স্বাভাবিক আছে আমার কোন অভিযোগ নেই।
তালতলী থানার ওসি শহিদুল ইসলাম খান জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা থেকে এক যুবক এসেছে তার প্রেমিকাকার সাথে দেখা করতে। এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থল থেকে ওই যুবককে পুলিশি হেফাজতে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তার মা ও বোনের নিজ জিম্মায় আলআবি মৃধাকে দেওয়া হয়েছে। তাদের কোনো অভিযোগ নেই।