দোয়ারাবাজার (সিলেট) প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বাঁশতলা আননপাড়া টু ইসলামপুর হয়ে হকনগর বাজার যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সড়কের রফিক মেকারের বাড়ীর সামনে কালভার্টের স্ল্যাব ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ইসলামপুর ছিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসা, হকনগর বাজার, চৌধুরী পাড়া বাজার, বাশতলা চৌধুরী পাড়া শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়,বাশতলা হোসাইনিয়া ইসলামীয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, এলাকার মানুষ ও যানবাহন চলাচলে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। গর্তের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্ট দিয়ে মোটরসাইকেল, ভ্যান ও ইজিবাইকে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন যাত্রী ও পথচারীরা। বিশেষ করে রাতে কালভার্ট দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে কমবেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের আননপাড়া, পেকপাড়া কালিটিলা, ইসলামপুর যাতায়াতের অন্যতম প্রধান সড়ক এটি।স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে আননপাড়া রফিক মেকারের বাড়ীর সামনে নির্মিত কালভার্টটির মাঝের অংশের ঢালাই প্রায় এক বছর আগে ভেংগে গেছে সাইডে ভেঙে রড বের হয়ে পড়েছে। এতে ছোটবড় যানবাহন চলাচলে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। মোটরসাইকেলসহ অটোরিকশা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও প্রায় সময়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে বলে স্থানীয়রা জানান। এতে এলাকাবাসীসহ শিক্ষার্থীদের চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা এ কালভার্ট দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। কালভার্টটি ঠিক না করা হলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।দুই কিলোমিটার কাচা রাস্তাটি পাকা করনসহ কালভার্ট মেরামতের জন্য উপজেলা এলজিইডির দৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় নুরনবী জানান,মাত্র দুই কিলোমিটার কাচা রাস্তার কারণে গ্রামের মানুষ চলাচলে নানা ভোগন্তিতে পড়ে। স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারদের বিষয়টি বারবার জানানো হলেও কাচা রাস্তাটি আজ অবদি পাকাকরণের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।কালভার্টটি ঠিক না করা হলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সাবেক ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম জানান,আননপাড়া ইসলামপুর রাস্তার দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটি অল্প বৃষ্টি হলেই হাটু কাদায় পরিণত হয়। কাদা হওয়ায় ওই রাস্তা দিয়ে মানুষ মাদ্রাসা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাজারে যেতে পারেনা। উক্ত রাস্তা দিয়েই কোমলমতি শিশুরা মাদ্রাসা ও প্রাইমারি স্কুলে যাতায়াত করে। কাদাযুক্ত রাস্তার কারণে অনেকেই পিছলে পড়ে যায়।জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা এ কালভার্ট দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। কাচা রাস্তাটি পাকা করনসহ কালভার্ট মেরামতের জন্য উপজেলা এলজিইডির দৃষ্টি কামনা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কাদির বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে দুই কিলোমিটার রাস্তা পাকা করনের কোন সুযোগ নেই। সুযোগ থাকলে অনেক আগেই জন দুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রেখে পাকা করনের উদ্যোগ নেয়া হতো। বিষয়টি উপজেলা এলজিইডির হস্তক্ষেপ কামনা করেন এই জনপ্রতিনিধি।