অনলাইন ডেস্ক: শেরপুরের শ্রীবরদীতে পুলিশের এএসআই পরিচয়ে প্রতারণা করে বিয়ে, পদোন্নতির জন্য টাকা নিয়ে আত্মসাৎ মামলায় অভিযুক্ত মিলন সরকার ওরফে লিটনের সহযোগী রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪।
সোমবার সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করে সংস্থটি। গ্রেফতারকৃত রফিকুল উপজেলার কুরুয়া গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে জেলা সদরের চান্দেরনগর মুসলিমপাড়া এলাকার আব্বাস আলীর ছেলে মিলন সরকার ওরফে লিটনের সঙ্গে শ্রীবরদীর কুরুয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে জোসনা পারভীনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে গত বছরের ২০ মে মিলন পুলিশের এএসআই পরিচয় দিয়ে দুই লাখ টাকা কাবিনে জোসনা পারভীনকে বিয়ে করে। বিয়ের পর ডিউটির কথা বলে স্ত্রী জোসনাকে বাবার বাড়ি রেখে চলে যায়। কিছুদিন পর লিটন এসআই পদে পদোন্নতির কথা বলে স্ত্রী জোসনার কাছে ৬ লাখ টাকা দাবি করে। স্বামীর পদোন্নতির কথা ভেবে জোছনা জমি এবং স্বর্ণালংকার বন্ধক রেখে স্বামী লিটনকে বিভিন্ন সময়ে মোট ৯ লাখ টাকা দেয়। তবে টাকা লেনদেনের সময় লিটনের সহযোগী রফিকুলকে সাক্ষী রাখেন জোসনা। এদিকে টাকা নেয়ার পর মিলন জোসনার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
পরে জোছনা তার শ্বশুর বাড়ি গেলে প্রতারক স্বামী মিলনের সহযোগী রফিকুল জোছনাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। সেই সঙ্গে হত্যার হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় জোসনা পারভীন বাদী হয়ে শ্রীবরদী থানায় মামলা দায়ের করে। গ্রেফতার এড়াতে অভিযুক্তরা আত্মগোপনে ছিল।
র্যাব-১৪ কোম্পানি অধিনায়ক আবরার ফয়সাল সাদী জানান, এর প্রেক্ষিতে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে র্যাবের একটি দল শনিবার রাতে জেলা শহরের সজবরখিলা পাইওনিয়ার একাডেমি স্কুলের সামনে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় আসামি রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। আসামি রফিকুলকে শ্রীবরদী থানায় মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।