নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একজন লন্ডন প্রবাসী চেয়ারম্যান প্রার্থীকে হয়রানির অভিযোগ গতকাল বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্য্যালয়ে লিখিত ভাবে প্রদান করা হয়েছে। উক্ত অভিযোগে বলা হয়েছে পবিত্র রমজান মাসে এত্তেকাপে থাকা অবস্থায় এক প্রার্থীকে মারামারির মামলায় প্রদান আসামী করা হয়েছে। একই গ্রামে দুই প্রার্থী অপর প্রার্থীর ভয়ে আরেক প্রার্থী প্রচারণা করছেন না।এবিষয় নিয়ে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। দুই পক্ষের মধ্যে যে কোন সময় সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী লন্ডন প্রবাসী শ্রীমতপুর গ্রামের শেখ মোস্তুফা কামাল অভিযোগে বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে একজন প্রার্থী হিসেবে প্রচারনা চালিয়ে আসছেন।তিনি বলেন, তফসিল ঘোষনার পর আমি যথাযথভাবে মনোনয়ন ফরম ক্রয় করি।
আমার গ্রামে আরেকজন উপেেজলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা তিনিও প্রচার প্রচারনা চালিয়ে আসছেন।তিনি বিভিন্ন সময় আমাকে প্রার্থী না হওয়ার জন্য নানা রকম প্রান হুমকি দিয়ে আসছেন। গত ০৭/০৪/২০২৪ ইং ( ২৭ শে রমজান) আমি শ্রীমতপুর উত্তরহাটি জামে মসজিদে এত্তেকাফে প্রবেশ করি। আমি মসজিদে এবাদত থাকায় অবস্থায় গত ০৯/০৪/২০২৪ ইং রোজ মঙ্গল বার রাত অনুমান ১১.০০ ঘটিকায় কথিত মামলার বিবরন অনুযায়ী শ্রীমতপুর গ্রামের একটি মারা মারির ঘটনায় শ্রীমতপুর গ্রামের মুক্তার মিয়ার পুত্র নবীর হোসেন বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুটিসিয়াল ম্যাজেস্ট্রেট কগ-০৫ আদালতে দায়েরকৃত মামলায় আমাকে এক নং আসামী করিয়াছেন । আমার প্রতিপক্ষ গ্রামের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামীলীগনেতা এই মামলার পর থেকে তিনি আমাকে ও আমার কর্মীদের বিভিন্ন রকম হুমকি দিয়ে আসতেছেন আমি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য। আমি যদি মনোনয়ন প্রত্যাহার না করি তিনি আমার প্রাননাশের চেষ্টা করবেন বলে হুমকি দেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বর্তমান ২য় দাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একজন প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র বৈধ হয়েছে। আমি এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই তিনি কোন প্রচারণা করছেন না। যে কোন সময় ঐ প্রার্থীর লোকজন আমার উপর হামলা করতে পারে।
এব্যাপারে শেখ মোস্তুফা কামাল সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমি শুধু জেলা প্রশাসক নয় আমি মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি ও হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
্্ এব্যাপারে শ্রীমতপুর উত্তরহাটি জামে মসজিদের ্ঈমাম ক্ারী জামাল ্ঊদিদন বলেন, লনডন প্রবাসী শেখ মোস্তুফা কামাল গত ০৭/০৪/২০২৪ ইং ( ২৭ শে রমজান) শ্রীমতপুর উত্তরহাটি জামে মসজিদে এত্তেকাফে প্রবেশ করেন। আমার মসজিদে এবাদত থাকায় অবস্থায় গ্রামে মারামারি হয়। তিনি ্ঘটনার সাথে জড়িত নয়।
শ্রৗমত পুর গ্রামের মুরব্বী অলি মিয়া বলেন, মামলার বাদী নবীন হোসেন ্্আমাদের গ্রামের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ঘনিষ্ট লোক। আমাদের গ্রামের দুই প্রার্থীর মধ্যে রেশারেশি বিরোধ রয়েছে নির্বাচন নিয়ে।
হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার ্আকতার হোসেন (পিপিএম সেবা ) বলেন , ্আমার কাছে অভিযোগ এসেছে আমি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করবো। আমরা বিষয়টি গরুত্ব দিয়ে দেখবো।
এব্যাপারে সুলতান মাহমুদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ হলে জানান, আমার সাথে বিরোধ নেই গ্রামের মানুষ মারামারির ঘটনায় উনাকে আসামী করা হয়েছে আমি এই বিষয়ের সাথে জড়িত নয়। আমি কখনও তাকে প্রান নাশের হুমকি প্রদান করি নাই, তিনি মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন।
