দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার ইনচার্জ অমিত হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

13

নিজস্ব প্রতিবেদক: দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার ইনচার্জ অমিত দাস শিবু (৩৬) হত্যা মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামি হলেন নগরের শাহী ঈদগাহ এলাকার হাজারিবাগের ৪৮নং বাসার মৃত আ. মুকিতের ছেলে ফয়সল আহমদ (৩২)। তাকে গতকাল সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ফয়সল একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী; তার বিরুদ্ধে চুরি-ছিনতাই-ডাকাতিসহ নানা অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতে এয়ারপোর্ট থানার ওসি জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফয়সল আহমদসহ আরও কয়েকজন মিলে গত বৃহস্পতিবার রাতে অমিত দাস শিবুকে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি মারে। আসামিদের একজন অমিতের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের হেলমেট দিয়ে দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। মারধরের একপর্যায়ে অমিত অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে যান। পরে আসামিরা অমিতের মৃত্যু নিশ্চিত করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এয়ারপোর্ট থানার ওসি (তদন্ত) দেবাংশু কুমার দে জানান, গতকাল সোমবার ফয়সল আহমদকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আলাদতে পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার আসামিকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে।
গত শনিবার দুপুরে নিহত অমিত দাসের বড় ভাই অনুকূল দাস (৪২) বাদী হয়ে নগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নগরের এয়ারপোর্ট থানাধীন শাহী ঈদগাহ এলাকার হাজারিবাগ দলদলি চা-বাগানসংলগ্ন মাঠ থেকে অমিত দাস শিবুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন শুক্রবার বিকেলে ময়না-তদন্ত শেষে নগরের চালিবন্দর মহাশশ্মানে মরদেহ দাহ করা হয়। নিহত অমিত দাশ শিবু সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার এলেংজুড়ি গ্রামের মৃত গৌর চাঁদ দাসের ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক। বর্তমানে সপরিবারে নগরের কানিশাইল এলাকায় বসবাস করছিলেন।