অনলাইন ডেস্ক: বরিশালে গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখম করেছেন প্রতিপক্ষের লোকজন। সেই সঙ্গে আহত আরো চারজনের মধ্যে গুরুতর আহত দুজনকে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলার বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডে বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতে এই সংঘর্ষ হয়।
আহত ইউপি চেয়ারম্যানের নাম সৈকত গুহ। তিনি মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মনির হোসেন মিয়া জানান, ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহসহ ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক নিয়ে তিনি আওয়ামী লীগের এক কর্মীর জানাজায় যাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছনোর পর কিছু সমর্থকের সঙ্গে দাঁড়িয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করছিলেন।
এ সময় আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারিছুর রহমানের সমর্থক দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার সেখানে উপস্থিত হন। তিনি উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক। সেখানে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
মনির হোসেন মিয়া অভিযোগ করেন বলেন, এক পর্যায়ে যুবলীগ নেতা দেলোয়ারের সমর্থকরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে মাহিলাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ, সমর্থক পলাশ হোসেন (২৭) ও মামুন খানকে (৩২) কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন।
মনিরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেনের সমর্থক ও বাটাজোর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কালু তালুকদার। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, পরিকল্পিতভাবে মাহিলাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিস্তল দিয়ে ঘটনাস্থলে থাকা দেলোয়ার হোসেনকে লক্ষ্য করে গুলি করেন। এতে দেলোয়ার হোসেন ও তাঁর ছেলে ইমতিয়াজ মাহমুদ আহত হন।
গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মনির হোসেন মিয়া ও মাহিলাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ সমর্থকদের নিয়ে একটি জানাজায় যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডে ছবি তোলা নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত ঘটে।
এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সৈকত গুহসহ তিনজন আহত হন। গুরুতর আহত সৈকত গুহ ও দেলোয়ার হোসেনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
ঘটনাস্থলে কেউ গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেনি দাদি করে পুলিশ কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় লোকজন গুলির কোনো শব্দ পাননি।