জৈন্তাপুর ট্যাক্স আদায়কে কেন্দ্র করে দু-গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

3

মীর শোয়েব, সিলেট: জৈন্তাপুর উপজেলা সদরের বাস-স্টেশন এলাকায় দু’টি গ্রুপের মধ্যে ভারতীয় পন্যের উপর নিজপাট ইউনিয়নের রপ্তানী ট্যাক্স আদায়-কে কেন্দ্র করে
ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৩ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অঞ্চল ভিত্তিক চাপা ক্ষোভ ও চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক রাখতে বাস-স্টেশন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার (ইনচার্জ) মো: তাজুল ইসলাম (পিপএম) জানিয়েছেন।
২ রা মে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে এই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
প্রায় ২০ মিনিট ব্যাপী উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। এতে উভয় পক্ষ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন এবং বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর করা হয়। এই ঘটনায় আহতদের জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গুরুত্বর আহত ঘিলাতৈল গ্রামের সাঈদুল ইসলাম (৩২) নামে একজন কে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। জৈন্তাপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আহত জাহাঙ্গীর আলম। জৈন্তাপুর হাসপাতাল সূত্রে আহত ৩ জনের তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। পুলিশ ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কদমখাল গ্রামের হারুন আহমদ গ্রুপ এবং ঘিলাতৈল গ্রামের সামছু মিয়া গ্রুপ ও তার ভাইদের মধ্যে ভারতীয় অবৈধ পন্য (চিনি,গরু-মহিষ) হত্যাদির উপর থেকে নিজপাট ইউনিয়ন পরিষদের রপ্তানী ট্যাক্স আদায় করা-কে কেন্দ্র করে এবং ভারতীয় চোরাচালান ব্যবসা নিয়ে বিবেদমান দু’টি গ্রুপের মধ্যে বিগত কয়েক দিন থেকে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা চলে আসছে। এই সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার রাতে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে ।
ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে সিদ্দিকুর রহমান নামের এক ব্যবসায়ীর দোকান সহ আরও ২টি দোকানে হামলা ও ভাংচুর করা হয়। জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার (ইনচার্জ) মো: তাজুল ইসলাম (পিপিএম) জানিয়েছেন, ঘটনার খবর পেয়ে পূলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়। তিনি জানান, এই ঘটনার সাথে জড়িত উভয় পক্ষের ২ জন হারুন আহমদ ও সামছু মিয়া-কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘটনার পর আমি সরজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি । পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে, বাস-স্টেশন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে টহল কাজ জোরধার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় উভয় গ্রুপের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে স্থানীয় একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে উভয় গ্রুপের লোকজন ভারতীয় চোরাচালান ব্যবসার সাথে জড়িত থাকায় এই ঘটনায় অঞ্চল ভিত্তিক চাপা ক্ষোভ ও চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।