খাল থেকে উদ্ধার ডানাকাটা পরী উদ্ধার

5

অনলাইন ডেস্ক: রাজধানীতে বিভিন্ন সময় আয়োজন করে নানা প্রদর্শনী চললেও, এবার এক ভিন্ন প্রদর্শনী উপভোগ করছে রাজধানীবাসী। এ প্রদর্শনী কোনও ব্যবহারিক পণ্যের নয়, এটি পরিত্যক্ত সব জিনিসের প্রদর্শনী। পরিত্যক্ত এ জিনিসগুলো রাজধানীবাসী আশেপাশের খালগুলোতে ফেলে দিয়েছিলেন।

খাল থেকে এসব পরিত্যক্ত বর্জ্যগুলো উঠিয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ভিন্নধর্মী প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। আর এ প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে খাল থেকে উদ্ধার করা সিরামিকের তৈরি শোপিস পরিত্যক্ত ডানাকাটা পরী। রাজধানীর কোনও বাসিন্দা নিজ বাসার সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য এটি ব্যবহার শেষে পরিত্যক্ত হওয়ার পর তা খালে ফেলে দিয়েছিলেন। যা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মোহাম্মদপুরের একটি খাল থেকে উদ্ধার করেছে।
শুধু ডানা কাটা পরীই নয়, রাজধানীর বিভিন্ন খাল থেকে উদ্ধার করা পরিত্যক্ত পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে পরিত্যক্ত লেপ, তোশক, সোফা, লাগেজ, খাট, ক্যাবল, টায়ার, কমোড, ফুলের টব, রিকশার অংশবিশেষ, টেবিল, চেয়ার, বেসিন, ব্যাগ, প্লাস্টিকের বিভিন্ন পাত্রসহ নানা পরিত্যক্ত পণ্য। এগুলোর কারণেই মূলত পানি প্রবাহ নষ্ট হচ্ছে, সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতার।

শনিবার (১১ মে) গুলশান-২ এ ডিএনিসিসির নগর ভবনের সামনে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে, যা সবার জন্য উন্মুক্ত। এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। প্রথমে ৩ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী চলার কথা থাকলেও, পরে ডিএনসিসির মেয়রের নির্দেশনায় এটি ৭ দিন পর্যন্ত চলবে বলে ঘোষণা করা হয়। মূলত জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে খালে, ড্রেনে ও যত্রতত্র ফেলে দেওয়া বর্জ্যের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

এ প্রদর্শনী দেখতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার স্কুলের শিক্ষার্থীরা এসেছে। তাদের ঘুরে ঘুরে এসব বর্জ্য দেখাচ্ছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। সরেজমিনে এ প্রদর্শনীতে দেখা গেছে, বিভিন্ন খালের নামে পোস্টার টাঙিয়ে রাখা হয়েছে। সেখানে সেই খাল থেকে বর্জ্য হিসেবে যা যা পাওয়া গেছে তা সারিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

প্রদর্শনী বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা নিজেরা এ শহরে বাস করি। কিন্তু কতটা অসচেতন হলে খালে লেপ-তোশক, জাজিম, রিকশা, সোফা, কমোড, টায়ারসহ এমন কিছু নেই যা আমরা খালে ফেলিনি। এসবের কারণেই পানিপ্রবাহ নষ্ট হয়ে রাজধানীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। মূলত সবাইকে দেখানোর জন্য, সচেতনতা তৈরি করার জন্য উদ্ধার হওয়া এসব বর্জ্যের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই এসব সবাই দেখুক, নিজেরা সচেতন হোক, আর যেন কেউ খালে, ড্রেনে এভাবে পরিত্যক্ত জিনিস না ফেলে। আমরা খালগুলোর প্রবাহ ঠিক করতে কাজ করছি। জনগণ যদি সচেতন না হয় তাহলে আমাদের এ কাজ করে কোনও লাভ হবে না। সবাইকে এসব ফেলা বন্ধ করতে হবে। এ প্রদর্শনের আয়োজন মূলত জনসচেতনতা সৃষ্টি করা।