সৈয়দ জেলওয়ার হোসেন স্বপন, গোলাপগঞ্জ , সিলেট: সিলেটের গোলাপগঞ্জে একটি খুনের ঘটনার রেশ কাটার আগেই চাচাতো ভাইয়ের দায়ের (বটি) এর কুপে আপন চাচাতো ভাই খুন হয়েছেন। পারিবারিক দন্ধের জেরে চাচাতো ভাইয়ের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড় সৃষ্টি হলে চাচাতো ভাই রেদওয়ান আহমদ দা (বটি) দিয়ের বাচ্চু আহমদ (৩৫)কে ঘাড়ে কুপ দিয়ে হত্যা করেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছেন। এ ঘটনায় রেদওয়ান আহমদ রনিসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
চলতি মাসের ৫ মে উপজেলার করগাঁও আদমপাড়া গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবক খুন হন। মাত্র ৬দিনের ব্যবধানে উপজেলার দত্তরাইল গ্রামে ফের খুনের ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতি ঘটছে বলে অভিজ্ঞ মহল ও সচেতন মহল মনে করছেন। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। শনিবার (১১ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের দত্তরাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে৷নিহত বাচ্চু আহমদ দত্তরাইল গ্রামের আকদ্দছ আলীর ছেলে এবং তিনি ঢাকাদক্ষিণ মাইক্রোবাস শাখার সদস্য৷
জানা যায়, শনিবার বিকেলে পারিবারিক দ্বন্ধের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাচাতো ভাই রেদওয়ান আহমদ রনির সাথে বাচ্চু আহমদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধলে রেদওয়ান আহমদ রনি উত্তেজিত হয়ে আপন চাচাতো ভাই বাচ্চু আহমদকে দা (বটি) দিয়ে ঘাড়ের মধ্যে স্বজোরে কুপ দিলে রক্তাক্ত অবস্থায় মাঠিতে লুঠিয়ে পড়েন বাচ্চু আহমদ। স্থানীয়রা ও স্বজনরা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থার অবনতি দেখায় থাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসামানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ওসমানী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসাধীন বাচ্চু আহমদকে মৃত ঘোষণা করেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন। লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছেন। উক্ত ঘটনার রেদওয়ান আহমদ রনিসহ ৫জনকে আটক করেছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। মাত্র ৬ দিনের ব্যবধানে ফের যুবক খুনের ঘটনায় উপজেলা জুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নানা গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে। অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন গোলাপগঞ্জে চরম ভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির ঘটনা ঘটছে।
চাচাতো ভাইয়ের দা (বটির) আঘাতে বাচ্চু আহমদ খুন হওয়ার ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাছুদুল আমিন।