অনলাইন ডেস্ক: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে জমি লিখে না দেওয়ায় বৃদ্ধা মাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছেলে শাহ আলমের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১০ মে) রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের হায়দারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত শাহনাজ খাতুন (৬৭) কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
আহত শাহনাজ খাতুন উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের হায়দারপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী। তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার শহিদুল ইসলাম এবং শাহনাজ খাতুন দম্পতির বড় ছেলে শাহ আলম সামান্য কথাকাটাকাটির জেরে বৃদ্ধ মায়ের কাছ থেকে তারই চলাফেরায় ব্যবহৃত হাতের লাঠি কেড়ে নিয়ে আঘাত করতে থাকে। একপর্যায়ে লাঠির আঘাতে মাথা ফেটে যায়। স্থানীয়রা টের পেয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
রোববার (১২ মে) সকালে শাহ আলমের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। এ সময় তার স্ত্রী মর্জিনা খাতুন বলেন, আমার স্বামীকে শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ঘর থেকে বের করে দিতে চায়। জমিজমা ও টাকা তার ছোট ছেলে ও তার মেয়েকে দিয়ে দিয়েছেন। আমার স্বামী ঋণ করে ঘর তৈরি করে দিয়েছে। সেই ঘর থেকে তারা এখন আমাদের বের করে দিতে চায়। এটা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ঝামেলা চলছে। গত শুক্রবার দুপুরে এ বিষয়গুলো নিয়ে আবারও কথাকাটাকাটি হয়। তখন আমার স্বামী তাকে ধাক্কা দেয় এবং আমার শ্বাশুড়িকে মারপিট করে। তবে আমি শ্বাশুড়িকে মারপিট করিনি।
উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফরহাদুল ইসলাম হ্যাপি বলেন, ঘটনাটি কেউ আমাকে এখনো জানায়নি। আপনাদের মাধ্যমেই শুনলাম। আমি হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ নেব। ঘটনা সত্য হলে এই ছেলে ও তার স্ত্রীর বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মিথিলা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার বিকেলে জরুরি বিভাগে শাহনাজ খাতুনকে নিয়ে আসলে আমরা তার মাথায় ৪টা সেলাই দিই এবং শরীরের অন্যান্য স্থানে যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে রাখা হয়।
কামারখন্দ থানার ওসি মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, আমি এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।