ছাতক প্রতিনিধিঃ টানা ৩ দিনের ভারি বর্ষণ এবং ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে সুরমা, চেলা ও পিয়ান নদীর পানি। বর্তমানে এসব নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদ সীমার উপর দিয়ে। ক্রমাগত পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিন্মাঞ্চল সহ গ্রাম-গঞ্জ ও শহরের মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে বন্যাতাংক। উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ধনীটিলা-ছনবাড়ী বাজার সড়কের উপর দিয়ে ভাতর থেকে আসা ঢলের পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। পানির প্রবল স্রোতে ভেঙ্গে গেছে এ সড়কের বিভিন্ন অংশ।
ইউনিয়নের নোয়কুট, রহমতপুর, বনগাঁও, দারোগাখালী, বৈশাকান্দি, ছনবাড়ী সহ ৮-১০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে বলে জানা গেছে। আউশ-আমন ধানের বেশ কিছু বীজতলা ও শাক-সবজীর বাগান ঢলের পানিতে তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে কোথায় কোন বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। পানি বৃদ্ধির কারনে উপজেলা আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত সহ আগাম প্রস্তুতি গ্রহন করেছে উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার পাহাড়ী ঢলে প্লাবিত ইসলামপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ প্রশাসনের লোকজন। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে বর্তমানে সুরমা, চেলো ও পিয়াইন নদী পানি বিপদ সীমার ৫৫ সেন্টেমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ, ছাতক-জাউয়া, ছঠাতক-দোয়ারা ও ছাতক-সুনামগঞ্জ সড়কের বিভিন্ন অংশ পানিতে তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
সড়কগুলোর কার্নিশে পৌছে গেছে ঢলের পানি। ইসলামপুর সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চলের বসত ঘরের আঙ্গিনায় বন্যার পানি কড়া নাড়ছে। বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। বন্যা মোকাবেলার প্রস্তুতি প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা মুন্না জানান, তিনি ভারত থেকে নেমে আসা ভারতী ঢলে প্লাবিত ইসলামপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন অঞ্চল পরিদর্শন কররছেন। আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত সহ প্রাথমিক সব ধরনের প্রস্তুতি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রহন করা হয়েছে। এখনও আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি। কোন ধরনের গুজবে আতংকিত না হওয়ার জন্য তিনি উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহবান জানান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।