যেভাবে প্লাটিনাম জয়ন্তীতে আওয়ামী লীগ

3

অনলাইন ডেস্ক: ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন গড়ে ওঠা রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ পেয়েছে স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এ দল নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এখন তার মেয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশবাসীকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে উন্নত, স্মার্ট দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার। আওয়ামী লীগের ৭৫ বছরের ইতিহাসে ৪৩ বছর নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এখন অতীতের যেকোনও সময়ের চেয়ে শক্তিশালী ও সংগঠিত। তিনি নিজেকে দলের জন্য অপরিহার্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন।

২৩ জুন ১৯৪৯: আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠা, মুসলিম লীগের প্রগতিশীল একটি অংশ বেরিয়ে নতুন এই দল গঠন করে। সভাপতি হন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক হন শামসুল হক, কারাবন্দি অবস্থায় শেখ মুজিবুর রহমান হন যুগ্ম সম্পাদক।

৩-৫ জুলাই ১৯৫৩: কাউন্সিলে সভাপতি পদে মওলানা ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান নির্বাচিত। কানকুন বাড়ি লেইনে দলের অস্থায়ী অফিস।

১৪ নভেম্বর ১৯৫৩: যুক্তফ্রন্ট গঠনের সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগের, ২১ দফা ঘোষণা।

৮ মার্চ ১৯৫৪: প্রাদেশিক নির্বাচনে আওয়ামী মুসলিম লীগ নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের জয়।

২১-২৩ অক্টোবর ১৯৫৫: দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনার রূপদান। কাউন্সিলে সভাপতি পদে মওলানা ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক পদে শেখ মুজিবুর রহমান পুনর্নির্বাচিত।

১৯৫৬ সালে পুরান ঢাকার ৫৬, সিমসন রোডের ঠিকানায় যায় আওয়ামী লীগের অফিস।

১৩ ও ১৪ জুন ১৯৫৭: সম্মেলনে মওলানা ভাসানী সভাপতি ও শেখ মুজিব সাধারণ সম্পাদক পুনর্নির্বাচিত।

২৪ জুলাই ১৯৫৭: আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ ছেড়ে মওলানা ভাসানী নতুন দল ন্যাপ গঠন করেন। আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হন মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ।

২৫ জানুয়ারি ১৯৬৪: আইয়ুব খানের সামরিক শাসনে রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পর শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের পুনরুজ্জীবন। ৯১, নবাবপুর রোডে দলীয় অফিস।

৬-৮ মার্চ ১৯৬৪: ঢাকার গ্রিন রোড আমবাগানে আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত। সভাপতি আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ ও সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান।

৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬: লাহোরে ৬ দফা উত্থাপন শেখ মুজিবের।

১৮-২০ মার্চ ১৯৬৬: আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে ছয় দফা গৃহীত; শেখ মুজিব সভাপতি নির্বাচিত, সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ।

১৯ জুন ১৯৬৮: শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিচার শুরু।

১৯-২০ অক্টোবর ১৯৬৮: কাউন্সিলে শেখ মুজিবুর রহমান সভাপতি ও তাজউদ্দীন আহমদ সাধারণ সম্পাদক পুনর্নির্বাচিত।

২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯: গণঅভ্যুত্থানে শেখ মুজিবের মুক্তি।

২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯: ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সংবর্ধনায় শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু উপাধি প্রদান।

৫ ডিসেম্বর ১৯৬৯: হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন, ‘আমাদের স্বাধীন দেশটির নাম হবে বাংলাদেশ’।

৪-৫ জুন ১৯৭০: সম্মেলনে পুনরায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সভাপতি এবং তাজউদ্দীন সাধারণ সম্পাদক।

৭ ডিসেম্বর ১৯৭০: সাধারণ নির্বাচনে শেখ মুজিব নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়।

২ মার্চ ১৯৭১: ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানায় সাধারণ ধর্মঘট আহ্বান শেখ মুজিবের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলন।

৩ মার্চ ১৯৭১: ইয়াহিয়ার গোলটেবিল বৈঠক বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাখ্যান। বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ।

৭ মার্চ ১৯৭১: রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ, স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক।

২৫ মার্চ ১৯৭১: কাল রাতে পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণ শুরু।

২৬ মার্চ ১৯৭১: বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা বঙ্গবন্ধুর। এরপরই বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার।

১০ এপ্রিল ১৯৭১: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপ্রধান ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক করে সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ঘোষণা।

১৭ এপ্রিল ১৯৭১: আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মুজিবনগরে বাংলাদেশের প্রথম সরকারে শপথ।

১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১: পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ। বাংলাদেশ স্বাধীন।

১০ জানুয়ারি ১৯৭২: পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন ও ভারত হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন।

১১ জানুয়ারি ১৯৭২: বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির অস্থায়ী সংবিধান আদেশ জারি। এই ঘোষণা অনুযায়ী একটি গণপরিষদ গঠিত হয়। রাষ্ট্রপতিশাসিতের পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রীশাসিত সরকারের প্রবর্তন।

১২ জানুয়ারি ১৯৭২: স্বাধীন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বঙ্গবন্ধু।

৭-৮ এপ্রিল ১৯৭২: আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে বঙ্গবন্ধু সভাপতি পদে ‍পুনর্নির্বাচিত, নতুন সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান।

৪ নভেম্বর, ১৯৭২: গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়।

১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২: বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর হয়।

৭ মার্চ ১৯৭৩: বাংলাদেশের প্রথম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন।

১৬ মার্চ ১৯৭৩: বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নতুন মন্ত্রিসভা গঠন।

১৮-২০ জানুয়ারি ১৯৭৪: সম্মেলনে সভাপতি হন এ এইচ এম কামারুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান।

২১ জানুয়ারি ১৯৭৫: আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকে সর্বময় ক্ষমতা প্রদান।

২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫: একক দল শাসিত জাতীয় সরকার গঠনের লক্ষ্যে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধন, বঙ্গবন্ধু হলেন রাষ্ট্রপতি।

২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৫: সব রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে নতুন দল বাকশাল গঠন; দলের চেয়ারম্যান হলেন বঙ্গবন্ধু।

১৫ অগাস্ট ১৯৭৫: সেনাবাহিনীর একদল কর্মকর্তার নেতৃত্বে ক্যু, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা।

৩ নভেম্বর ১৯৭৫: জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা।

৪ নভেম্বর ১৯৭৬: নতুন প্রণীত রাজনৈতিক দল গঠন নীতিমালার আওতায় আওয়ামী লীগের অনুমোদন লাভ; ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে মহিউদ্দিন আহমেদ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী দায়িত্বে।

৩-৪ এপ্রিল, ১৯৭৭: আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে জোহরা তাজউদ্দীন আহ্বায়ক নির্বাচিত।

৩-৫ মার্চ ১৯৭৮: সম্মেলনে আবদুল মালেক উকিল সভাপতি এবং আব্দুর রাজ্জাক সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত।

১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯: সংসদ নির্বাচনে আব্দুল মালেক উকিলের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করে বিরোধী দলের আসনে, বিএনপির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা।

১৩-১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮১: বিদেশে থাকা শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক।

১৭ মে ১৯৮১: শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন, আওয়ামী লীগের দায়িত্বভার গ্রহণ। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানা হয় ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ।

২ অগাস্ট ১৯৮৩: আওয়ামী লীগ থেকে আব্দুর রাজ্জাক, মহিউদ্দিনসহ ছয়জনকে বহিষ্কার; দুই মাস পর তারা বাকশাল গঠন করেন।

২৮ নভেম্বর ১৯৮৩: অবরোধ কর্মসূচি। শেখ হাসিনা বন্দি।

৭ মে ১৯৮৬: তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ। বিরোধী দলের আসন লাভ।

১-৩ জানুয়ারি ১৯৮৭: শেখ হাসিনা সভাপতি পদে পুনর্নির্বাচিত, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।

১১ নভেম্বর ১৯৮৭: ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি নিয়ে সহিংসতার মধ্যে শেখ হাসিনা গৃহবন্দি।

১৮ নভেম্বর ১৯৯০: এরশাদবিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে; ক্ষমতা হস্তান্তরে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ৮ দলসহ তিনদলীয় জোটের রূপরেখা প্রকাশ।

৪ ডিসেম্বর ১৯৯০: তিন জোটের আন্দোলনের জয়, ক্ষমতা ছাড়ার ঘোষণা এইচ এম এরশাদের।

২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১: অস্থায়ী সরকারের অধীনে পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ৮ দলীয় জোটের অংশগ্রহণ। বিএনপির সরকার গঠন, বিরোধী দলে আওয়ামী লীগ।

১৪ অগাস্ট ১৯৯১: আওয়ামী লীগে একীভূত হয় আব্দুর রাজ্জাক নেতৃত্বাধীন বাকশাল।

১৯ জুন ১৯৯২: আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে গণফোরাম গঠন কামাল হোসেনের।

১৯-২০ সেপ্টেম্বর ১৯৯২: আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে পুনর্নির্বাচিত সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান।

২ সেপ্টেম্বর ১৯৯৩: সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামাল হোসেনকে দল থেকে অব্যাহতি।

২৭ জুন ১৯৯৪: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা ঘোষণা আওয়ামী লীগের।

১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬: আওয়ামী লীগের বর্জনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন, আন্দোলনে অচল দেশ।

৮ মার্চ ১৯৯৬: আওয়ামী লীগের ডাকে লাগাতার অসহযোগ আন্দোলন শুরু।

৩০ মার্চ ১৯৯৬: আওয়ামী লীগের দাবি মেনে খালেদা জিয়ার পদত্যাগ।

১২ জুন ১৯৯৬: সপ্তম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন।

২৩ জুন ১৯৯৬: ক্ষমতায় আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম শপথ গ্রহণ শেখ হাসিনার।

১২ নভেম্বর ১৯৯৬: সংসদে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল, খুললো বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ।

৬-৭ মে ১৯৯৭: আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান পুনর্নির্বাচিত।

১ অক্টোবর ২০০১: মেয়াদ পূর্ণ করার পর অষ্টম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয়।

২৬ ডিসেম্বর ২০০২: আওয়ামী লীগের ১৭তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত। সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে নতুন সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল।

২১ অগাস্ট ২০০৪: ঢাকায় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা; মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ নেতা-কর্মী নিহত।

১১ জানুয়ারি ২০০৭: বিএনপি গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের আন্দোলনের মধ্যে জরুরি অবস্থা জারি, সেনা নিয়ন্ত্রণে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন।

৭ মে ২০০৭: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে লন্ডন হয়ে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা।

১৬ জুলাই ২০০৭: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দায়ের হওয়া বেশ কয়েকটি মামলার পর শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার।

১১ জুন ২০০৮: ১১ মাস কারাভোগের পর সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি শেখ হাসিনার।

১২ জুন ২০০৮: চিকিৎসার জন্য বিদেশযাত্রা শেখ হাসিনার।

২৯ ডিসেম্বর ২০০৮: নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের বিজয়।

৬ জানুয়ারি ২০০৯: প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বার শপথ শেখ হাসিনার।

২৪ জুলাই ২০০৯: ১৮তম সম্মেলনে শেখ হাসিনা পুনরায় সভাপতি পদে নির্বাচিত; নতুন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

৩০ জুন ২০১১: সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আনলো আওয়ামী লীগ; ’৭২-এর মূলনীতি পুনর্বহাল, বিলুপ্ত হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা।

২৯ ডিসেম্বর ২০১২: আওয়ামী লীগের ১৯তম সম্মেলনে শেখ হাসিনা ও সৈয়দ আশরাফ আগের পদে পুনর্নির্বাচিত।

৫ জানুয়ারি ২০১৪: বিএনপি ও কয়েকটি বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ছাড়া অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের নিরঙ্কুশ সংখ‌্যাগরিষ্ঠতা।

১২ জানুয়ারি ২০১৪: প্রধানমন্ত্রী পদে শেখ হাসিনার তৃতীয়বার শপথ।

২২-২৩ অক্টোবর ২০১৬: আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলনে শেখ হাসিনা অষ্টমবারের মতো সভাপতির দায়িত্ব পান। সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদের।

৩০ ডিসেম্বর ২০১৮: নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, আওয়ামী লীগের বিজয়।

৭ জানুয়ারি ২০১৯: চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। টানা তৃতীয় মেয়াদের সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।

২০-২১ ডিসেম্বর ২০১৯: আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনে শেখ হাসিনা নবমবারের মতো দলের সভাপতি হন। ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদকের পদে আসেন টানা দ্বিতীয়বারের মতো।

১৭ মার্চ ২০২০: সাড়ম্বরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের শুরু হয়। এদিনই শুরু হয় মুজিববর্ষের উদযাপন।

২৬ মার্চ ২০২১: মুজিববর্ষের উদযাপনের মধ্যেই আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। বাংলাদেশের জোড়া উদযাপনের এই উপলক্ষে উৎসবে শামিল হন প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রনেতারাও।

২৪-২৫ ডিসেম্বর ২০২২: আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলনে টানা দশমবারের মতো দলের সভাপতি হন শেখ হাসিনা। ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদকের পদে আসেন টানা তৃতীয়বারের মতো।

৭ জানুয়ারি ২০২৪: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা।

১১ জানুয়ারি ২০২৪: পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। টানা চতুর্থ মেয়াদের সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।