ছাতকে ভুমি খেকোদের কবল থেকে বনভুমি, জলমহাল ও ফসলী জমি রক্ষার দাবী

107

ছাতক প্রতিনিধি: ছাতকে ইজারার নামে মাটি ব্যবস্থাপনা আইন লঙ্ঘন করে অবৈধ বোমা মেশিন দিয়ে বালু, পাথর, মাটি উত্তোলন এবং বিক্রি করছে কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। ফলে ফরেষ্টের বিভাগের বিশাল বনভুমি, বৃহৎ দুটি জলমহাল এবং এলাকার ফসলী জমি ধ্বংসের মুখে পড়েছে। পাশাপাশি প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র, প্রস্তাবিত ইকোনোমিক জোন, ফরেষ্ট বিভাগের বনাঞ্চল এবং মুর্তা বাগান পড়েছে মারাত্মক হুমকির মুখে। ভুমি খেকো লুটেরাদের কবল থেকে এসব সম্পদ রক্ষায় সরকার বাহাদুর সহ প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন ইসলামপুর ইউেিনয়নের চেয়ারম্যান এড. সুফি আলম সোহেল।

রোববার বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইউপি চেয়ারম্যান এড. সুফি আলম এসব অভিযোগ ও দাবী তুলে ধরেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি আলো উল্লেখ করেন, খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ ইসলামপুর ইউনিয়ন থেকে কোটি-কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হলেও উন্নয়ন বঞ্চিত রয়েছে এ ইউনিয়ন। পাথর, বালু, চুনাপাথরের সহজলভ্যতা এবং আমদানী-রপ্তানী বানিজ্যের কথা বিবেচনা করে এ ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর, সৈদাবাদ, বাহাদুরপুর ও ইসলামপুর মৌজা জুড়ে ইকোনোমিক জোন করার প্রস্তাব দিয়েছে সরকার। কিন্তু অসাধু এসব ইজারারদারদের অবৈধ অর্থ লোভের কারনে মুখ থুবরে পড়তে পারে ইকোনোমিক জোন সহ প্রস্তাবিত একাধিক সরকারী মেঘা প্রকল্প। বোমা মেশিন দিয়ে অবাদে বালু, পাথর, মাটি উত্তোলণের ফলে এখানে বিরাজমান জীব-বৈচিত্র ও প্রকৃতির নির্মল পরিবেশ দিনে-দিনে কলুষিত হচ্ছে।

এতে এ অঞ্চলের জলবায়ূ পরিবর্তনের অন্যতম কারন হতে পারে এসব পরিবেশ বিধংসী কর্মকান্ড। পরিবেশ রক্ষায় এবং জনস্বার্থে ইজারাদারদের এসব অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবী জানান তিনি। অন্যতায় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্বারকলিপি সহ জনগনকে সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলনে নামার হুমকী দেয়া হয় লিখিত বক্তব্যে।