ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার পরিকল্পনাকারী সে এই সোহাগ?

1

নিজস্ব প্রতিবেদক: হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে ‘হত্যার পরিকল্পনা’র বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি করার ১০ দিনের মাথায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিসিটিসি) টিম।
মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে হবিগঞ্জ থেকে সোহাগ মিয়া নামের এ যুবককে গ্রেফতার করে সিটিটিসি। তবে তিনি মূল ‘হত্যার পরিকল্পনাকারী’ না ‘হত্যাকারী টিমের সদস্য’ তা জানায় পুলিশ।
শুধু গ্রেফতারের বিষয়টি সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তবে গ্রেফতার ও সোহাগের বিষয়ে বুধবার বিকাল ৩টায় হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করা হবে।
জানা গেছে, সোহাগের বাড়ি মৌলভীবাজারে। গ্রেফতারের পর তাকে ঢাকায় নিয়ে গেছে সিসিটিসি টিম। বুধবার ফের হবিগঞ্জে নিয়ে আসা হবে।
শনিবার (২৯ জুন) রাতে ‘অজ্ঞাতনামা একটি শক্তিশালী মহল হত্যার জন্য টিম নিয়ে মাঠে নেমেছে’ জেনে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় করা সাধারণ ডায়েরিতে ব্যারিস্টার সুমন উল্লেখ করেন- গত ২৭ জুন ঢাকায় অবস্থানকালে রাত আনুমানিক ২টার সময় আমার নির্বাচনী এলাকার চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তার সরকারির মোবাইল ফোন থেকে আমার হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে জানান যে, ‘আপনাকে হত্যার জন্য অজ্ঞাতনামা একটি শক্তিশালী মহল গত তিন দিন আগে ৪-৫ জনের একটি টিম নিয়ে মাঠে নেমেছে। আপনি রাতে বাইরে বের হবেন না এবং সাবধানে থাকবেন।’
তখন আমি ওসির কাছে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি ওই ব্যক্তির পরিচয় জানাতে অস্বীকার করেন এবং আমাকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন। এই বিষয়টি জানার পরে আমি মারাত্মকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
জিডি দায়েরের পরদিন সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার সুমন বলেন- ‘গত শুক্রবার আমি বাড়িতে যাওয়ার পর চুনারুঘাট থানার ওসি আমার সঙ্গে দেখা করে বলেন- একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি আমার সঙ্গে কথা বলতে চায়। পরে ওসি নিজের ফোন দিয়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলান। ওই ব্যক্তি আমাকে জানায়- সে একটি কন্টাক্ট কিলার গ্রুপের সদস্য। ওই কিলার গ্রুপে মেসেজ আসে- আমাকে হত্যা করতে হবে। কিন্তু অজ্ঞাত ওই ব্যক্তি আমাকে চিনে এবং আমার কাজকর্ম সম্পর্কে অবগত আছে তাই সে তার গ্রুপকে জানায়- সে এ কাজ করবে না। এছাড়া ওই অজ্ঞাত ব্যক্তি আমাকে জানায়- আমি যেন দু-তিন দিন ঘর থেকে বের না হই। ওই ব্যক্তি তার পরিচয় আমার কাছে গোপন করেছে। তবে সে তার বাড়ি সিলেটে বলেছে। তার বক্তব্য হচ্ছে- সে আমাকে সতর্ক করার জন্যই ওসির মাধ্যমে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেয়েছে।’