শ্যালিকাকে তুলে নিয়ে গেল দুলাভাই

297

অনলাইন ডেস্ক: চট্টগ্রামের চন্দনাইশে শ্যালিকাকে অপহরণের ২২ দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে অপহরণকারী দুলাভাই পলাতক রয়েছে।

বুধবার (১০ জুলাই) অপহৃতের দুলাভাই মোহাম্মদ হান্নানের বাড়ি থেকেই শ্যালিকাকে উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) উদ্ধারকৃত আদিপার জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আদালতে পাঠানো হবে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দোহাজারী পৌরসভার আহমদুর রহমানের বড় মেয়ে আসমা আক্তারের সঙ্গে বৈলতলী ইউনিয়ের জাফরাবাদ গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ হান্নানের বিয়ে হয়। দেড় বছর সংসার জীবনে তাদের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। কিন্তু বিয়ের আনুমানিক ১ বছর পর থেকে হান্নান অহেতুক কারণে তার স্ত্রীকে বিভিন্ন অশ্লিল ভাষায় গালমন্দসহ মারধর করে আসছিলেন। পাশাপাশি অনেক দিন ধরে শ্যালিকা নাজমা আক্তার আদিপাকে অবৈধ প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন।
আদিপা ২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। বিষয়টি হান্নানের স্ত্রী আসমা আকতার জানতে পেরে তার স্বামী হান্নানকে নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হান্নান তার স্ত্রী আসমা আকতারকে ডিভোর্স দেওয়ার হুমকি দেন। পরবর্তীতে মারধরের পর বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন এবং ডিভোর্সের জন্য আদালতের একটি নোটিশ সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর পাঠান।
এদিকে সম্প্রতি আদিপা সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নের বহরম পাড়াস্থ তার খালার বাড়িতে বেড়াতে গেলে গত ১৯ জুন হান্নানসহ অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনের সহযোগিতায় আদিপাকে বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অপহরণ করে অজ্ঞাতনামা স্থানে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে মোহাম্মদ হান্নানের শ্বশুর আহমদুর রহমান বাদী হয়ে চন্দনাইশ থানায় অপহরণ মামলা করেন।
চন্দনাইশ থানার ওসি (তদন্ত) যুযুৎসু যশ চাকমা জানান, শ্যালিকাকে অপহরণের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ অপহৃতকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। সর্বশেষ মামলার বিবাদী হান্নান তার পোল্ট্রি ফার্মের মুরগি বিক্রি করতে আসার খবর পেয়ে পুলিশ তার বাড়ি বৈলতলী জাফরাবাদ এলাকায় অভিযান চালায়। কিন্তু বিষয়টি টের পেয়ে আসামি হান্নান পালিয়ে গেলেও তার বাড়ি থেকে অপহৃত শ্যালিকা আদিপাকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত আদিপার জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) আদালতে পাঠানো হবে।