ছাতক প্রতিনিধি: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয়ী ছাত্ররা সারা দেশের ন্যায় ছাতকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, ট্রাফিক কার্যক্রম সহ নানামুখী সমাজকল্যাণমিলক কাজে আত্ম নিয়োগ করেছে।
তাদের এসব ইতিবাচক কাজ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের মুখে-মুখে হচ্ছে প্রশংসিত। এরই অংশ হিসেবে ছাতকের প্রাচীনতম ও ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ ছাতক সরকারি বহুমুখী মডেল হাইস্কুলের হাজা-মজা পুকুরটি পরিস্কার করে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দিল ছাত্ররা। এতেই বিদ্যালয়টি যেন এক নতুন রূপে দ্যুতি ছড়াতে শুরু করে। ছাতক শহরের প্রাণ কেন্দ্রে ও দৃষ্টিন্দন স্থানে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যাপীঠ দীর্ঘ দিন ধরে আরো বহুগুণে এর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে রেখেছিল বিদ্যালয়ের প্রধান ভবন সংলগ্ন এ পুকুটি। ভবন সংলগ্ন পাড়ে ছিল একটি পাকা করা ঘাট। পুকুরের নির্মল পানিতে গোসল করতো আশপাশে বসবাস করা লোকজন। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের মাঝে সাঁতার প্রতিযোগিতার ইভেন্ট আয়োজন করা হতো এ পুকুরে। বেশ কয়েক বছর ু পুকুরে মাছ চাষ করতেও দেখা গেছে। কিন্তু কালের প্রভাবে অযত্নে, অবহেলায় বিদ্যালয়ের শোভা বর্ধন করা এ পুকুরটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। শহরের যাবতীয় ময়লা-আবর্জনায় তার সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে পুকুরটি। ময়লা-আবর্জনা পছে সম্পুর্নভাবে নষ্ট হয়ে যায় পুকুরের নির্মল পানি। এভাবেই চলতে থাকে বছরের পর বছর।
কচুরিপানা ও ময়লা -আবর্জনায় পরিপূর্ণ পুকুরটি পরিবেশও মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে আসছিল। পরিবেশ বিনষ্টের পাশাপাশি আশপাশের বাসা বাড়িতে ছড়াচ্ছিল রোগ জীবাণু। পুকুর পরিষ্কারের কাজে নিয়োজিত শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিনের হাজামজা ও পরিবেশ বিনষ্টকারি এ পুকুরটি পরিষ্কারের কোন উদ্যোগ না থাকায় জনস্বাস্থ্য রক্ষায় জনস্বার্থে তারা নিজেরাই স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে হাত দিয়েছেন পুকুরটি পরিষ্কার -পরিচ্ছন্নতার কাজে। এ ব্যাপারে সহযোগিতা করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মোস্তফা মুন্নাকে তারা আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
সরকারি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আজাদ জানান, বিভিন্ন জটিলতার কারণে পুকুরটি সংস্কার করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। তবে ছাত্ররা এ মহৎ কাজটি করায় তিনি তাদের অভিনন্দন জানান।
ঢাকা ভার্সিটির ছাত্র আবুল কাশেম, ছাতক সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন, রপেজ, নাহিদ ইসলাম, রায়হান, মাহদি, সৌরভ, অভি, রাজু, লাহিন, তামিম, ছামাদ, ছাতক সরকারি হাইস্কুলের ছাত্র জয়, আরিয়ান, জিসান, পেপার মিল হাইস্কুলের ছাত্র শুভ্র, অমিতসহ অনেকেই পরিষ্কার -পরিচ্ছন্নতার কাজে সহযোগিতা করছেন। শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন জানান,
পুকুর পরিষ্কারের পাশাপাশি শহরের রাস্তা ঘাটের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারসহ ট্রাফিকের দায়িত্বও পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের তারণ্যদীপ্ত কার্যক্রমে অভিভূত সাধারণ মানুষও। অনেকের অভিমত, সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠনে ছাত্র সমাজকেই অগ্রনি ভুমিকা পালন করতে হবে।