বিপাকে ১০ গ্রামের মানুষ: কুলাউড়ায় নদীতে বিলীনের পথে পাকা রাস্তা

9

নাজমুল ইসলাম, কুলাউড়া: কুলাউড়ায় উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নে ফানাই নদীর ভাঙনে বিলীনের পথে জনগুরুত্বপূর্ণ চৌধুরী বাজার-কর্মধা ভায়া মুকুন্দপুর পাকা সড়ক। উপজেলা সদরের সাথে ১০টি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র এই রাস্তাটি পাহাড়ী ঢলে ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে যানবাহনসহ মানুষ চলাচলে দূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।

নদী ভাঙ্গনে রাস্তাটির একিদত্তপুর মাসুক মিয়ার বাড়ির পাশ হতে মহরম মিয়ার বাড়ীর পশ্চিম পাশ প্রায় ৫শত ফুট রাস্তার প্রায় ৮০-৮৫ ভাগ ভেঙ্গে গেছে। মুকুন্দপুর রাজা মিয়ার বাড়ির দক্ষিনে প্রায় ২০০ ফুট রাস্তা ভেঙ্গে গেছে। এর ফলে পার্শ্ববর্তী ২০-২২টি গ্রামের মানুষ দুর্ভোগের শিকার। এই রাস্তা দিয়ে উপজেলা সদরের সাথে একিদত্তপুর, মুকুন্দপুর, কবিরাজী, হাশিমপুর, বাবনিয়া, বেরী, কান্দিগাঁও, মহিষমারা, কোনাগাঁওসহ দক্ষিণাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ এই রাস্তাটিকে বাইপাস সড়ক হিসেবে ব্যবহার করেন। এই রাস্তা দিয়ে চৌধুরী বাজার জিএস কুতুব শাহ আলীম মাদ্রাসা, শাহজালাল উচ্চ বিদ্যালয়, একিদত্তপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে থাকেন। একিদত্তপুর, মুকুন্দপুর ও কবিরাজী গ্রামের মানুষের আসা যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম এই রাস্তা। চলতি বন্যায় পাহাড়ী ঢলে রাস্তাটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এই রাস্তা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে এই অঞ্চলের শত শত মানুষ দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে

স্থানীয় কবিরাজী গ্রামের ফারুক আহমদ, নজরুল ইসলাম, হাসিমপুর গ্রামের আনোয়ার মিয়া, জুনাব আলী, মুকুন্দপুর গ্রামের ছালেক মিয়া,কয়েস আহমদ সড়কটি ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, এলাকার ৪-৫ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী চলাচল করে এই রাস্তা দিয়ে। ভাঙনের কারণে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী সিএনজি অটোরিক্সা সহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।

কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকবর আলী সোহাগ জানান, এটা মুলত ফানাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ। ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে রাস্তাটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমি উপজেলা পরিষদ ও মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করেছি। বরাদ্ধ পেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাস্তাটির সংস্কার কাজ করা হবে।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাবেদ ইকবাল মুঠো ফোনে বলেন, সরেজমিন পাউবোর লোক পাঠিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিরক্ষা বাঁধের প্রাক্কলন তৈরি করে অগ্রাধিকারভিত্তিতে দ্রুত মেরামত কাজ করা হবে।