সাবেক কৃষিমন্ত্রীর দখলে থাকা লাউয়াছড়ার ৫ একর ভূমি উদ্ধার

4

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা সাবেক কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদের দখলে থাকা প্রায় ৫ একরের বেশী জায়গা উদ্বার করেছে বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ। রবিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৭৫ জন শ্রমিক নিয়ে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের স্টুডেন্ট ডরমিটরির সামনে লাউয়াছড়ার জায়গা উদ্বারে অভিযান পরিচালনা করে বন বিভাগ। উদ্ধারকৃত সেই বনভূমিতে লাগানো হয়েছে বন্যপ্রাণীর খাদ্য উপযোগী ৫ হাজার ফলজ বৃক্ষের চারা।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন দখল করে রেখেছিলেন মৌলভীবাজার-৪(কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল) আসনের ৭ বারের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদ। ২০১৮ সাল থেকে বন বিভাগ অনেকবার উদ্যোগ নিলেও সাবেক কৃষিমন্ত্রী পাওয়ারফুল লোক হওয়ায় তার কবল থেকে জমিটি উদ্বার করা হয়নি।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) জামিল মোহাম্মদ খান, রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। বনািবভাগের সাথে সহযোগিতায় ছিল র‌্যাব ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সদস্যরা।

লাউয়াছড়া বনরেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, উদ্ধারকৃত ভূমিতে বন্যপ্রাণীর খাদ্য উপযোগী ৮ থেকে ১০ প্রজাতির পাঁচ হাজার ফলজ গাছের চারা লাগানো হয়েছে। প্রজাতিগুলো হলো-জাম, চাপালিশ, বহেরা, হরিতকি, বকুল, গর্জন প্রভৃতি। বনের এই ভূমি উদ্ধার অভিযানে লাউয়াছড়ার সিপিজি সদস্য, মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী রেঞ্জের কর্মী এবং অন্যান্য শ্রমিকসহ ১৭৫ জন অংশগ্রহণ করেন।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বন্যপ্রাণীরা তো এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বিচরণ করে। লাউয়াছড়ার পার্শ্ববর্তী এই জায়গাটিতে গাছ না থাকায় এবং জবরদখল হয়ে যাওয়ার কারণে বন্যপ্রাণীদের মুভমেন্টের কানেকটিভিটিটা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।

চেষ্টা করছি গাছ লাগিয়ে সেই কানেকটিভিটিটাকে ফিলাপ করে দিতে। ফলজ গাছগুলো বেঁচে গেলে এখানকার জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় অনেক ভালো সাপোর্ট পাবো। তিনি আরো বলেন, বেদখলকৃত জায়গাটি উদ্বার করি। এখানে ৫ একরের বেশী জায়গা হবে। যেখানে কিছু জায়গা লেবু গাছ ছিল, কিছু জায়গা ফাঁকা পড়ে ছিলো। সেই জায়গাগুলোতে বন্যপ্রাণীর উপযোগী গাছের চারা লাগানো হয়েছে।