সবুজ সিলেট ডেস্ক
মিথ্যাচার ও শপথভঙ্গ’ করায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দিনভর উত্তাল ছিল রাজধানী ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে শুরু করে বঙ্গভবন এলাকা। বিক্ষোভ-মিছিলে মুখর ছিল সারা দেশ। শুধু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা, সমন্বয়ক ও সংগঠকরাই নন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাও রাষ্ট্রপতির সাম্প্রতিক বক্তব্যকে ঘিরে যে অবস্থান নিয়েছেন এবং প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন, তা থেকে পরিষ্কার যেকোনো সময় এই পদত্যাগের ঘটনা বাস্তবরূপ পেতে পারে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেও মনে করছেন, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এমন প্রেক্ষাপটে এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে- আইন ও সংবিধান অনুযায়ী তাকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার বাস্তবতা রয়েছে কি না।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে ‘আইন ও সংবিধানের’ বিষয়টি আর কার্যকর নয়। তাই ‘গণদাবি’ হিসেবে উত্থাপিত হলে বর্তমান রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে অন্য কাউকে ওই পদে অধিষ্ঠিত করা কোনো অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর যদিও দেশের সংবিধানকে স্থগিত করা হয়নি, তার পরও পরিস্থিতিগত কারণে এমন ঘটতেই পারে। কারণ অস্বাভাবিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন রাষ্ট্রপ্রধান নিযুক্ত হওয়া ও পুরোনো রাষ্ট্রপ্রধানের বিদায় নেওয়ার ঘটনা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কোনো নতুন ঘটনা নয়। সবকিছু মিলিয়ে মনে করা হচ্ছে, ঘটনাপ্রবাহ রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দিকেই এগোচ্ছে।
পরবর্তী রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ?
এদিকে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর জানিয়েছেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বক্তব্য সম্পর্কে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের কথাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বক্তব্য।’
প্রসঙ্গত, এ সম্পর্কে আইন উপদেষ্টা সোমবার সচিবালয়ে নিজের দপ্তরে জানিয়েছিলেন, ‘তিনি (রাষ্ট্রপতি) মিথ্যাচার করেছেন, যা শপথভঙ্গের শামিল। তার বক্তব্যে অটল থাকলে তিনি পদে থাকতে পারেন কি না তা উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আলোচিত হতে পারে।’
মঙ্গলবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব এ কথা বলেন। তবে উপদেষ্টা পরিষদের মঙ্গলবারের বৈঠকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব এ কথা বলেন। তবে উপদেষ্টা পরিষদের মঙ্গলবারের বৈঠকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি।
অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতির বক্তব্য সম্পর্কে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের কথাই সরকারের বক্তব্য। রাষ্ট্রপতির অপসারণের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’
অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম জানাচ্ছে যে- উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের দুজন উপদেষ্টা। মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটের দিকে প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে রুদ্ধদ্বার এ বৈঠক হয়। বৈঠকে অংশ নেন আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। তাদের সঙ্গে কয়েকজন শিক্ষার্থীও সুপ্রিম কোর্টে যান। তবে তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না।
এই আলোচনার বিষয়ে সূত্র জানাচ্ছে, বৈঠকে রাষ্ট্রপতির পদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি এবং আপিল বিভাগের বর্তমান জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামকে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি করার বিষয়েও তারা আলোচনা করেছেন।
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান স্পষ্ট নয়:
অবশ্য রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা এমনটি মনে করলেও দেশের রাজনৈতিক দলগুলো এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির ‘পদত্যাগ কিংবা অপসারণের’ প্রশ্নে কোনো সুস্পষ্ট অবস্থান নেয়নি। তারা রাষ্ট্রপতির তীব্র সমালোচনা করছে, কিন্তু তার পদত্যাগ কিংবা অপসারণের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করছে না।
এ প্রসঙ্গে বিবিসি বাংলা অনলাইন জানাচ্ছে যে- বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ দুটি দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর কাছে তাদের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল- রাষ্ট্রপতি সরে যাক এটি তারা চায় কি না। কিন্তু এ ব্যাপারে বিএনপি কোনো মন্তব্য করেনি।
বিবিসি জানাচ্ছে, বিএনপির হাইকমান্ড দলীয়ভাবে সিনিয়র নেতাদের এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করার ব্যাপারে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার বিএনপি নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের কাছে মন্তব্য করেছিলেন, ‘রাষ্ট্রপতির এ বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’।
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী এই প্রশ্নে বিবিসিকে সরাসরি হ্যাঁ কিংবা না উত্তর না দিয়ে শুধু এ কথা জানায় যে, ‘রাষ্ট্রপতি অসত্য বক্তব্য দিয়ে ওই পদে থাকার অধিকার হারিয়েছেন।’
কোন প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতি পাল্টাতে পারে:
এমন প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার যদি পদত্যাগ/অপসারণের দাবি উত্থাপনকারী সমন্বয়কদের দাবি মেনে বা গণদাবির পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি পাল্টাতে চায়, তা হলে কোন পথ অবলম্বন করা হবে? রাজনৈতিক আইনজ্ঞ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এ নিয়ে বিভিন্নমুখী অভিমত রয়েছে।
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতিকে জাতীয় সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের মাধ্যমে অপসারণ করা যাবে। সিনিয়র আইনজীবীরা মনে করেন, এই অপসারণ বা অভিশংসন করতে চাইলে ‘সংসদ লাগবেই’। অবশ্য রাষ্ট্রপতি যদি নিজেই সরে দাঁড়ান, তাহলে সংসদের আর প্রয়োজন হবে না। সেক্ষেত্রে নতুন যে প্রশ্নটি দেখা দেবে, সেটি হলো- রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করলে ওই দায়িত্বে নতুন করে কে আসবেন।
সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে, রাষ্ট্রপতির স্বেচ্ছায় পদত্যাগ কিংবা মৃত্যুজনিত কারণে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন স্পিকার। তবে তিনি দায়িত্বভার নেওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ‘ওই সংসদ দ্বারাই নতুন রাষ্ট্রপতি’ নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এটি আর সম্ভব নয়। কেননা এখানে বর্তমান সংসদ ও স্পিকার কোনোটিই কার্যকর নয়।
এমন পরিস্থিতিতে বর্তমান সরকার কি পারবে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে? পারলে কীভাবে পারবে- এমন এক প্রশ্নের উত্তরে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিদ মোরশেদ বিবিসি বাংলার কাছে মন্তব্য করেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী ওই সুযোগ নেই। রাষ্ট্রপতি এখন স্বেচ্ছায় বা কারও কথায় চলে যেতে পারেন।’
তিনি আরও মন্তব্য করেন, ‘কারও কথায় যাওয়া অসম্ভব কিছু না। ক্ষমতায় যারা আছেন, তারা বললেই চলে যাবে। সেনাবাহিনী ও সরকার চাইলে এক সেকেন্ডের ব্যাপার। আর এখানে লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই। কারণ ফর্মেশন অব গভর্নমেন্টই তো লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্কের মাঝে না। এখানে যা হবে, এমনিতে হবে। তবে এগুলোকে পরবর্তীতে লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্কের মাঝে অনুমতি দিতে হবে।’
‘রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের’ প্রধান সমন্বয়ক ও সিনিয়র আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম এ প্রসঙ্গে বিবিসির কাছে বলেন, ‘এখন অস্বাভাবিক সরকার কাজ করছে, তাই সংবিধানের মাঝ দিয়ে বৈধতা অবৈধতা সাংবিধানিক পদ্ধতিতে খুঁজে পাওয়া কঠিন। তবে সেটাও তারা কাভার করার জন্য আপিল বিভাগ থেকে একটি রেফারেন্স (প্রাসঙ্গিক মতামত বা সুপারিশ) করে নিয়ে আসছে। এখন পর্যন্ত তারা সংবিধানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণভাবে চলার চেষ্টা করেছে। যা সংগতিপূর্ণ না, সেগুলো রেফারেন্সের মাধ্যমে। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের পদ্ধতি কী হবে- সেটার জন্য তাদের এখন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে রেফারেন্স নিতে হবে।’
অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই আলোচনায় ‘অপসারণ’:
‘জনতার চোখ’ ম্যাগাজিনে গত ১৯ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হওয়ার পর তার পদত্যাগ কিংবা অপসারণের দাবি তীব্র হয়ে দেখা দিলেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনার শুরু মূলত অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইল থেকে প্রায় একই সঙ্গে এ দাবি উত্থাপন করেন। গত ৩ অক্টোবর দুপুরে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার প্রোফাইল থেকে দেওয়া এক পোস্টে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে অনতিবিলম্বে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অপসারণের দাবি সর্বপ্রথম উত্থাপন করেন। এর কয়েক ঘণ্টা পর সমন্বয়ক সারজিস আলমও তার প্রোফাইল থেকে একই কথা লিখে পোস্ট করেন। এর পর থেকে কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিষয়টি নিয়ে সারা দেশে নানা আলোচনা-সমালোচনা, জল্পনা-কল্পনা চলছে।
এ ব্যাপারে ছাত্র সমন্বয়কদের বক্তব্য হলো- তারা সবার কাছে ‘গ্রহণযোগ্য ও দেশপ্রেমিক’ রাষ্ট্রপতি চান। একটি বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে, তাই ফ্যাসিস্ট হাসিনার নির্ধারিত রাষ্ট্রপতি থাকলে তা যেকোনো সময় রাষ্ট্রের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে।
এর পর শনিবার মানবজমিনের প্রকাশনা ‘জনতার চোখ’-এর প্রচ্ছদ প্রতিবেদন ‘নেপথ্যের গল্প’তে সিনিয়র সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরী জানান, রাষ্ট্রপতি তাকে জানিয়েছেন, তিনি শুনেছেন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। বিষয়টি নিয়ে তারপর সারা দেশে তোলপাড় দেখা দেয়।
ষড়যন্ত্র নয়, কৌতূহল : বলছেন মতিউর রহমান চৌধুরী:
এদিকে রাষ্ট্রপতির বক্তব্যসংবলিত বহুল আলোচিত প্রতিবেদনটির প্রতিবেদক, মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরী সোমবার ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেছেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতি এটা আমাকে বলেছেন, (পদত্যাগপত্র) তার কাছে যায়নি। কিন্তু উনি তো এটা বলেননি যে পদত্যাগ অবৈধ, এটা ঠিক না। বঙ্গভবন থেকে যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে মীমাংসিত ইস্যু নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। উনি যথার্থই বলেছেন।’ সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশত্যাগের আড়াই মাস পর তার পদত্যাগপত্রের ইস্যুটিকে কেউ কেউ ষড়যন্ত্র মনে করছে- এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এ সময় এই সিনিয়র সাংবাদিক আরও বলেন, ‘এটা ষড়যন্ত্র কেন? আপনি অবাধ তথ্যপ্রবাহ চান, আবার ষড়যন্ত্রও দেখতে চান, তাহলে তো হবে না।… আড়াই মাস কেন? আড়াই বছর পরেও বিতর্ক হতে পারে। কারণটা হচ্ছে যে একটা কৌতূহল থেকে। যেহেতু সজীব ওয়াজেদ জয় বললেন যে, পদত্যাগ করেননি। একবার বললেন, করেছেন। মানুষের মধ্যে একটা বিভ্রান্তি ছিল। আর এই কৌতূহল থেকেই আমার প্রশ্ন করা।’