হবিগঞ্জে আন্দোলনে হামলা, মামলার বাদী জানেন না মামলার খবর

56

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি 

হবিগঞ্জ শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা-মামলার বাদী কাজী শামীম আহমেদের স্বাক্ষর যাচাই করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হলফনামা দিয়ে তিনি মামলাটি দায়ের করেননি জানালে বিচারক ফখরুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
একইদিন মামলায় ১২ নম্বর আসামী মোঃ সনু মিয়া ও মোঃ সুরত আলীর জামিন আবেদন মঞ্জুর হয়।
এর আগে গত ১৮ জুলাই হবিগঞ্জ শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে হামলার অভিযোগে ১৬ অক্টোবর বানিয়াচং উপজেলার আগোয়া গ্রামের কাজী শামীম আহমেদ সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন বলে পুলিশ জানায়।
এতে ৪২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও এক থেকে দুইশ’ জনকে আসামী করা হয়।
এদিকে, মামলা রুজুর দুই সপ্তাহ পর বাদী আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলা দায়ের করেননি জানিয়ে হলফনামা দেওয়ার ঘটনা আদালতপাড়ায় আলোচিত হয়েছে। জামিন পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন আসামীর তালিকায় থাকা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন শ্যাম বলেন, ‘শুনেছি বাদী আদালতে একটি হলফনামা দিয়েছেন। এতে কি উল্লেখ রয়েছে এবং আদালত কি আদেশ দিয়েছেন তা এখনও জানতে পারিনি।
আদালতে পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) আব্দুল কাদের বাদীর স্বাক্ষর যাচাই আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বাদী কাজী শামীম আহমেদ বুধবার আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলাটি দায়ের করেননি জানালে তাঁর স্বাক্ষর যাচাইয়ের আদেশ দেন বিচারক। পরবর্তী প্রক্রিয়ায় তাঁর স্বাক্ষর সংগ্রহ করে যাবাই করার জন্য হস্তরেখা বিশারদের নিকট পাঠানো হবে।’
যোগাযোগ করা হলে কাজী শামীম আহমেদে বলেন, ‘আমার মোবাইল নম্বর হ্যাকারদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যা বলি তা ই ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে। এখন কথা বললে বিপদ আরও বাড়বে। পরে সংবাদ সম্মেলন করে আমি এ ব্যাপারে কথা বলব।’
আসামী মোঃ সনু মিয়া ও মোঃ সুরত আলীর জামিন মঞ্জুর হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশ জানায়, এ দুজনের নামে মামলায় নির্দিষ্ট কোন অভিযোগ না পাওয়ায় তাঁরা জামিন পেয়েছেন।
হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহী ও,নবীগঞ্জ প্রেস ক্লাব সভাপতি ও সমকাল প্রতিনিধি এম,এ আহমদ আজাদ সহ ৪২ জন এ মামলার আসামী। ছাড়াও উল্লেখযোগ্য আসামীদের মধ্যে রয়েছেন, তারেক মিয়া ওরফে চশমা তারেক, মেহেদি হাসান ফাহিম, হাবিব খান, বিপ্লব রায় চৌধুরী, মেহেদী হাসান ইশান প্রমুখ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিল কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে নার্সিং ইনস্টিটিউটের পৌছলে আসামীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ মিছিলকারীদের উপর হামলা করেন। এতে গুলিবিদ্ধসহ অনেকে আহত হয়েছেন।