সবুজ সিলেট ডেস্ক
স্ত্রীর মর্যাদা ও সন্তানের ভরনপোষন চাইতে গিয়ে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন একজন গৃহবধূ ও তার ছেলে।
১ নভেম্বর বিকেল ৪টায় নগরীর সেনপাড়া এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধূ সেনপাড়া ইদ্রিছ আলীর মেয়ে আমিনা আক্তার বাদী হয়ে শাহপরান (র.) থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।
আসামিরা হলেন জাকির হোসেন, রানী বেগমসহ অজ্ঞাতনামা ৩ জন।
আমিনা আক্তারের অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ২০ বছর পূর্বে বিয়ানীবাজারের দেউল গ্রামের মৃত মফুর আলীর ছেলে লন্ডন প্রবাসী জাকির হোসেনের সাথে ৬ লাখ টাকা মোহরানা ধার্য করে বিবাহ হয়। বিয়ের একবছর পর তাদের ঘরে একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। তার নাম রেজুয়ান হোসেন (১৮)। ছেলে জন্মের কিছুদিন পর আমিনা আক্তারের স্বামী জাকির হোসেন বিয়ের কাবিননামাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে লন্ডনে চলে যান। পরবর্তীতে গোপনে দেশে এসে আরো বিয়ে করেন লন্ডন প্রবাসী জাকির হোসেন। জাকির হোসেন তার স্ত্রী আমিনা আক্তার ও তার ছেলে রেজুয়ানের কোন খোঁজ খবর নেননি এবং ভরন পোষন প্রদান করেননি। ১ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে আমিনা আক্তার তার ছেলে রেজুয়ান হোসেনকে নিয়ে সেনপাড়াস্থ স্বামী জাকির হোসেনের বাসায় গিয়ে স্ত্রীর মর্যাদা ও সন্তানকে ভরনপোষনের দাবি জানান।
এতে জাকির হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন ও তার কয়েকজন সহযোগী নিয়ে আমিনা আক্তার ও ছেলে রেজওয়ান হোসেনকে মারপিট করেন। এক পর্যায়ে রেজুয়ান হোসেনের গলাচেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
এ অবস্থায় আশপাশের লোকজন এসে আহতদের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ সময় জাকির হোসেন ও তার সহযোগীরা আর কোনদিন তার বাসায় আসলে প্রাণ নাশের হুমকি দেন।
এ ব্যাপারে শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য্য জানান অভিযোগ অনুযায়ী তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।