ওসমানীনগরে ইউপি চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবীতে মিছিল, অত:পর আটক

5

ওসমানীনগর প্রতিনিধি

ওসমানীনগর উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ’লীগ নেতা সাহেদ আহমদ মূসার পদত্যাগের দাবীতে দিনভর মিছিলে উত্তাল ছিল সাদীপুর ইউপি কার্যালয়।বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ইউপি কার্যালয়ের সামনে তার পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। ১১টার দিকে চেয়ারম্যানের পক্ষে শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল আসে কার্যালয়ের সামনে। এসময় উভয়পক্ষে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা শাহ এহিয়া দলীয় নেতৃবৃন্দ নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। তখন উভয়পক্ষে হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যস্থতায় উভয়পক্ষকে বুঝালে তারা মিছিল নিয়ে স্থান ত্যাগ করেন।

দুপুর ১টার দিকে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে ওসমানীনগর সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহানাজ পারভীন সাদীপুর ইউপি সচীব মারুতি নন্দন ধামকে বলেন, বিষয়টি নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ইউপি চেয়ারম্যান সাহেদ আহমদ মূসা আর অফিস করবেন না। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ওসমানীগর থানার ওসি মোনায়েম মিয়া, তদন্ত ওসি আরাফাত জাহান চৌধুরী, বিএনপি নেতা শাহ এহিয়া ও সৈয়দ হুমায়েল আহমদ প্রমূখ।

এদিকে, বিকাল ৩টার দিকে গোয়ালাবাজার থেকে সিলেট ডিবি পুলিশের একটি দল চেয়ারম্যান সাহেদ আহমদ মূসাকে আটক করে সিলেটে নিয়ে যায় বলে নিশ্চিত করেন ওসমানীনগর থানার ওসি মোনায়েম মিয়া। অন্যদিকে স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মীরা ইউপি চোরম্যানকে বরখাস্ত করার জন্য এবং চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত না করতে তার পক্ষে একটি গ্রুপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন।

প্রসঙ্গত ৪ আগস্ট বিকাল ৫টার দিকে শেরপুর গোল চত্বরে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবীতে আন্দোলন করে স্থানীয় ছাত্রজনতা। তখন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের উপর হামলা করলে আহত হন ছাত্রনেতা জুমান কোরেশি, সৈয়দ ফারহান আহমদ মুরসালিন, রাব্বি, সবুজ ও সায়মন। শিক্ষার্থীদের দাবী, আওয়ামীলীগ নেতা চেয়ারম্যান সাহেদ আহমদ মূসার নেতৃত্বে তাদের উপর হামলা করা হয়। তারা আরো দাবী করেন হামলার পর শেরপুর ব্রিজ বন্ধ করে আন্দোলনকারীদের তল্লাশী করেন আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ। তখন তারা ব্রীজ দিয়ে না গিয়ে নৌকাযোগে কুশিয়ারা নদী পাড়ি দিয়ে বাড়ি যান।

৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর চেয়ারম্যান মুসা ছুটি নিয়ে ইউপি সদস্য সামসুল ইসলাম শামিমকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দিয়ে যুক্তরাজ্যে চলে যান। সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিলে তার পদত্যাগের দাবীতে ৪ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন মিছিল করে আসছে স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মীরা।