স্টাফ রিপোর্ট
সিলেটে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ ৭২জন বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দক্ষিণ সুরমা থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন জমশরপুর খালপার এলাকার শামছুল হকের ছেলে ফররুখ আহমদ।
সিলেট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য হবিবুর রহমান হাবিবকে প্রধান আসামি করে দায়ের হওয়া এ মামলায় (নং-০৩(১১)২০২৪) ৪২জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২০/৩০জনকে আসামি করা হয়েছে।
দণ্ডবিধির ১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩২৩/৩২৪/৩২৬/১১৪/৩৪ পেনালকোডসহ ১৯০৮ সনের বিস্ফোরক উপাদানবলী আইনের ৩/৪ ধারায় এ মামলাটি রেকর্ড হয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হোসেন।
মামলায় হাবিবুর রহমান ছাড়াও এজাহারনামীয় অন্য আসামিরা হলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সহ সভাপতি আসাদ উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক ও ২০ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, সিলেট মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গীরদার, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, করিম উল্লাহ মার্কেটের আতাউল্লাহ সাকের, রোজভিউ হোটেলের মহি উদ্দিন, কাজীটুলার কানন আলম, জালালাবাদ আবাসিক এলাকার আনোয়ার হোসেন, মিতালী ফার্মেসীর জুবের, ফেরদৌস চৌধুরী রুহেল, ৩৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হাজী হেলাল, সাবেক কাউন্সিলর হুমায়ূন কবির মুহিন, ২৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মুশতাক আহমদ, স’মিলের রাখাল, গোলাপগঞ্জের মিসবাহ ওরফে কয়েছ, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য শফিউল আলম জুয়েল, সোনারপাড়ার ফয়েজ, লতিফ ট্রাভেলসের শিরু, যুবলীগ নেতা আজাদুর রহমান চঞ্চল, টিলাগড়ের আজলা ওরফে আদলা, শ্রমিকলীগ নেতা আলা উদ্দিন ওরফে আলাই, তাতীপাড়ার দিলাল মিয়া, খাদিমপাড়ার আওয়ামী লীগ নেতা মোজাম্মেল হোসেন লিটন, ৪০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আরিজ মিয়া, দক্ষিণ কুশিঘাটের আওয়ামী লীগ নেতা মামুনুর রশিদ মামুন, হবিনন্দির আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আলম, কুশিঘাটের মুন্না আহমদ, আওয়ামী লীগ ক্যাডার লাকি মিয়া, বড়শালার মানিক মিয়া মেম্বার, খাদিমনগরের মাহতাব আহমদ রশিদ, পীরের বাজারের হারুনুর রশিদ, মিরের ময়দানের মো. শহিদুল ইসলাম, দিরাই যুবলীগ নেতা মো. ইসলাম উদ্দিন, দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফজলে রাব্বি, দিরাই যুবলীগ সদস্য মো. জুয়েল মিয়া, ভাটিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বদরুল ইসলাম চৌধুরী, নগরীর উত্তর বাগবাড়ীর মো. শামিম আহমদ, ভাতালিয়ার জয়ন্ত দাস ও ৩৮ নং ওয়ার্ডের হয়দারপুরের পারভেজ।
মামলার এজাহারের ভাষ্যমতে, ৪ আগস্ট বেলা আড়াইটার দিকে দক্ষিণ সুরমা কলেজ থেকে ছাত্র-জনতা কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে সিলেট নগরীর কোর্টপয়েন্টের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।পথিমধ্যে আসামি আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা বন্দুক, পিস্তল, দা, হকিস্টিকসহ অস্ত্র নিয়ে নিরিহ ছাত্র-জনতার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।তারা এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। অনেকেই আহত হন। আসামিদের ছোড়া বন্দুকের গুলি বাদির বাম চোখ ও মাথায় লাগে।এমতাবস্থায় আসামিরা বাদিকে হকিস্টিক ও দা দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে।ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। একপর্যায়ে স্থানীয় জনতা বাদিকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।