কমলগঞ্জ প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে শাহিনা আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের বিক্রমকলস গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। শাহিনা একই এলাকার সাজিম মিয়ার স্ত্রী।
তবে নিহতের পরিবারের দাবি, স্বামী ও শশুরবাড়ির লোকজন গলায় ফাঁস লাগিয়ে গৃহবধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী সাজিম মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সামাজিকভাবে প্রায় ৮ বছর আগে সাজিম মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় শাহিনার। তাদের সংসারে ৫ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে শাহিনাকে তার স্বামী নির্যাতন করে আসছে। এ নিয়ে শাহিনাকে তার বাবার বাড়িতে নিয়ে আটকানোরও সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। পরবর্তীতে স্থানীয় ইউপি সদস্য সোহেল আহমদসহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের শালিশ বৈঠকের মাধ্যমে লিখিত স্ট্যাম্প করে স্বামীর ঘরে পাঠান।
মেয়েটিকে তার স্বামী মেরে ফেলেছে অভিযোগ করে শাহিনার বাবা ইব্রাহিম মিয়া বলেন, ‘শনিবার সকালে সাজিম আমাকে মেয়ের হঠাৎ করে জ্ঞান হারার বিষয়ে জানালে আমরা দ্রুত সেখানে যাই। কিন্তু গিয়ে দেখি আমার মেয়ে মারা গেছে। তার গলায় দাগও রয়েছে। আমার মেয়েকে তার স্বামী এতোদিন নির্যাতন করেছে। সেই আমার মেয়েকে গলায় ফাস লাগিয়ে মেরেছে।’
তবে পুলিশ আটক করার আগে নিহত শাহিনার স্বামী সাজিম মিয়া বলেন, ‘আগের রাত আমাদের মধ্যে কিছুটা ঝগড়া হয়েছে। সকালে উঠে দেখি ঘরে সে ফাঁস দিয়েছে। পরে আমি ফাঁস খুলে সেখান থেকে নামিয়ে ফেলি।’
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার আহমদ বলেন, ‘নিহতের পরিবারের দাবিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধুর স্বামীকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, তা তদন্তে বেড়িয়ে আসবে।’