আওয়ামী লীগের ঘোষণায় উত্তেজনা, কড়া হুঁশিয়ারি সরকারের

7

সবুজ সিলেট ডেস্ক 

প্রদর্শন করছে না। তারা রাষ্ট্রে ও সমাজে বিদ্যমান গণতান্ত্রিক শক্তিকে ধ্বংস করে গোষ্ঠীতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায়ে রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হচ্ছে এবং অভূতপূর্ব নৈরাজ্যবাদ কায়েম করেছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে সঠিক পন্থায় আনতে হলে গণতান্ত্রিক চেতনায় বিশ্বাসী জনগণকে ভেদাভেদ ভুলে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে এবং এই অগণতান্ত্রিক অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চলমান রাখতে হবে। আগামী ১০ই নভেম্বর বিকাল ৩টায় শহীদ নূর হোসেন চত্বরে অগণতান্ত্রিক শক্তির অপসারণ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত মিছিলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতাকর্মীসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী সাধারণ মানুষকে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ  জানানো যাচ্ছে। একই সঙ্গে দেশব্যাপী সকল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো যাচ্ছে।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক কল রেকর্ডে শেখ হাসিনাকে দলের এক নেতাকে কর্মসূচি নিয়ে দিকনির্দেশনা দিতে দেখা যায়। যেখানে তিনি দলীয় ওই নেতাকে কর্মসূচিতে ট্রাম্পের ছবি প্রদর্শনের নির্দেশনা দেন। অডিওতে শেখ হাসিনার কণ্ঠে বলতে শোনা যায়, মিছিলে তাদের হাতে ট্রাম্পের ছবি থাকবে। এতে কেউ যদি বাধা দেয়, কোনো হামলা করে তাহলে তো সেটা ট্রাম্পের ছবিতে হামলা হবে। সেই ছবি তোলার জন্য আলাদা লোক থাকবে। তখন সেই হামলার ছবি আমি ট্রাম্পের কাছে পাঠাবো। ট্রাম্পের সঙ্গে আমার ভালো যোগাযোগ আছে। শেখ হাসিনা বলেন, বাধা দেয়ার ছবি ট্রাম্পকে পাঠিয়ে বলা যাবে দেখো ইউনূস সরকার কী করছে। সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার তো ইউনূস। ২৫০ জন এসআইয়ের (ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর) চাকরি দিলো না, তাদের বের করে দিলো। তিনি আরও বলেন, মিছিলে ভালো লোক জমায়েত যেন হয়, সে ব্যবস্থা করবা। মিছিলে নূর হোসেনের ছবি থাকবে। ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ লেখা প্লেকার্ড রাখবা। আমাদের অনেক ঘরবাড়ি, দোকান-পাট পোড়ানো হয়েছে। এর তথ্য বের করতে হবে। আমরা সব হিসাব কড়ায়-গণ্ডায় করে নেবো।

অন্যদিকে দলটির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একাধিক পোস্টে নেতাকর্মীদের কর্মসূচিতে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করা হয়। সেখানে বলা হয়, সব আন্তর্জাতিক মিডিয়া উপস্থিত থাকবে। পুলিশও আন্তর্জাতিকভাবে চাপে আছে তাই কোনো বাধা দেয়া হবে না। জেলা উপজেলা পর্যায়েও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে। এদিকে আওয়ামী লীগের কর্মসূচির ঘোষণার এক প্রতিক্রিয়ায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে বলেছেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিস্ট দল। বাংলাদেশে এই ফ্যাসিস্ট দলকে বিক্ষোভ করতে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার নির্দেশে যদি কেউ র‌্যালি, সমবেত হওয়া ও মিছিলের চেষ্টা করে তাহলে তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ শক্তির মুখোমুখি হতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনো ধরনের সহিংসতা কিংবা আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা সহ্য করবে না। জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, আমাদের অফিসিয়ালি কোনো কর্মসূচি সম্পর্কে জানানো হয়নি। কোনো ফেসবুক পেজে দেয়া কর্মসূচি সম্পর্কে আমাদের জানা নেই। এরপরও কেউ যদি পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যা যা করার প্রয়োজন ডিএমপি তাই করবে।